নিজস্ব প্রতিনিধি: হাইকোর্টে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার। সেখানে আদালত রায় দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষেই। ডিভিশন বেঞ্চে হয়েছিল এই শুনানি। বিচারপতিদের নির্দেশ কমিটির প্রধান দায়িত্বে থাকবেন ৩ সদস্য। বাকি সদস্যরা তাঁদের সাহায্য করবেন। উল্লেখ্য কমিটিতে রয়েছে ১১ সদস্য।
কলকাতা হাইকোর্টের (High Court) প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এদিন শুনানি ছিল। সেখানেই বিচারকরা রায় দেন, ১১ সদস্য নিযুক্ত করে কোনও ভুল করেনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ঘরছাড়াদের ফেরাতে ৩ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। নির্দেশ ছিল, রাজ্য ও কেন্দ্র জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এবং রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিস অথারিটির ১ জন করে ৩ সদস্য থাকবেন। রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, কমিটিতে ১১ সদস্য আছেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ১ জনকে রাখতে বললেও ১১ জনই মানবাধিকার কমিশনের সদস্য।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আদালতের নির্দেশ মানেনি। আদালত ১ জন সদস্য রাখার নির্দেশ দিলেও কমিটিতে ১১ জন সদস্য। পাল্টা জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বলেছিল, ১ জন মূল দায়িত্বে বাকিরা তাঁকে সাহায্য করবেন। অভিযোগের সংখ্যা বেশি, তাই লোকবল প্রয়োজন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এই যুক্তিকেই মান্যতা দিল আদালত।