নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি আইপিএল রবিবার আহমেদাবাদের মাটিতে গুজরাট বনাম লখনউ-এর লড়াই হলেও, মূলত লড়াইটা ছিল দুই ভাইয়ের। অর্থাৎ একদিকে হার্দিক অন্য দিকে ক্রুণাল। কাজেই এই ম্যাচের গুরুত্বটাই ছিল আলাদা। কেননা দুই ভাই-ই ছিলেন দুই দলের অধিনায়ক।
রবিবার ম্যাচে টসে জিতে বোলিং-এর সিদ্ধান্ত নেন লখনউ দলনেতা ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। ব্যাট হাতে অন্য ম্যাচগুলির মতো ক্রিজে গুজরাট দলের হয়ে উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহা ও ছন্দে থাকা শুভমন গিল। কিন্তু রবিবার দিনটা ছিল বাংলার তরুণ উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহার।
দূরন্ত ছন্দে ব্যাট করে ঋদ্ধিমান করলেন সর্বোচ্চ ৮১ রান। মাত্র ৪৩টি বল খেলে ১০টা বাউন্ডারি ও ৪টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে এই রান করলেন হার্দিকের দলের অন্যতম ক্রিকেটারটি। ঋদ্ধিমানকে যোগ্য সহায়তা করলেন শুভমন।
আরও জানতে পড়ুন: দূরত্ব ঘুচিয়ে হাত মেলালেন সৌরভ-বিরাট
রবিবার যে আইপিএল-এ গুজরাট দলের হয়ে বড় রানের টার্গেটের লক্ষ্য নিয়েই ব্যাট করতে নেমেছিলেন ঋদ্ধিমান ও শুভমন তা তাঁদের ব্যাটিং করা দেখেই বোঝা গিয়েছিল। একটা সময় মনেও হচ্ছিল এই দুইজনই বুঝি আজকে নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে আইপিএল-এর ইতিহাসে নজির গড়বেন। কিন্তু তা আর সম্ভব হয়নি। ৮১ রানের মাথায় ঋদ্ধিকে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন আবেশ খান।
এরপর ক্রিজে দলনেতা হার্দিক। জুটি বাঁধেন শুভমনের সঙ্গে। কিন্তু ব্যক্তিগত ২৫ রানের মাথায় হার্দিক ফিরে যান প্যাভিলয়নে। কিন্তু ঋদ্ধিমানের মতো তখন গুজরাটের হয়ে ২২ গজ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন শুভমন। ঋদ্ধির ও শুভমন দুজনেরই কপাল খারাপ, তাই সেঞ্চুরির এত কাছে গিয়েও তা স্পর্শ করতে পারলেন না। শুভমনকে অপরাজিত থাকতে হল ৯৪ রানে। মাত্র ৫১টি বল খেলে ৭টি ছয় ও দুটি চারের সাহায্যে এই রান করেন শুভমন। ফলত তাঁদের ব্যাটিংয়ের জোরেই ২২৮ রানের টার্গেট গুজরাট খাড়া করে লখনউ-এর সামনে।