নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরে সন্তুষ্ট ছিলেন না ওঁরা। নম্বর চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। অবশেষে আদালতের নির্দেশে বাড়ল নম্বর। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নম্বর বাড়ল ৭৩৮ জন চাকরি-প্রার্থীর। আর এর জেরেই মেধা তালিকায় জায়গা করে নিলেন ৭৩৮ জন পরীক্ষার্থী। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁদেরকে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে বলে জানালো প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।
২০১৪ এর প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় প্রশ্নের ভুলের জন্য নম্বর কম দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বেশকিছু পরীক্ষার্থী। এরপর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে নির্দেশ দেয় আদালত। কোর্টের নির্দেশের পর নম্বর বাড়ে ৭৩৮ জনের। ৭৩৮ জন চাকরি-প্রার্থী মেধা তালিকায় জায়গা করে নেন। দু একদিনের মধ্যে তাদের নিয়োগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংসদ সভাপতি।
সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বারবার। কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও হয়েছে বহু। আদালতে প্রশ্নের মুখেও পড়ছে স্কুল সার্ভিস কমিশন(School Service Commission) সহ অন্যান্য সংস্থাগুলি। কয়েকদিন আগেই নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে এসএসসি কর্তৃপক্ষ। আদালত প্রশ্ন করে, ‘নবম ও দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা কোথায়? যা হয়েছে, তা দেখে মনে হচ্ছে হিমশৈলের চূড়ামাত্র! কেন নিজেরা এফআইআর করেননি? মামলা দায়ের হওয়া অবধি ঘুমোচ্ছিলেন?’
এই মামলার গতিপ্রকৃতি ও এসএসসি-র ভূমিকা নিয়ে বিচারপতি সৌমেন সেন ও অজয়কুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করে, ‘একের পর এক নিয়োগ মামলায় সিবিআই তদন্ত হচ্ছে। এসএসসি একটা মামলাকেও মিথ্যে বা ভুল বলতে পারেনি। আপনারা কেমন কাজ করছেন? এই বোর্ডকে এখনই ভেঙে দিয়ে প্রশাসক বসানো উচিত।’