আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইমরানের মুখে চুনকালি লাগাতে পাক-সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল শাহবাজ সরকার। তাদের দাবি, দেশের সর্বোচ্চ আদালত আজাদি মার্চ-য়ের ওপর জারি করেছিল নিষেধাজ্ঞা। সে নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইসলামাবাদ অভিযান কর্মসূচি গ্রহণ করে। এটা আদালত অবমাননার সামিল। পাক সরকারের ওই মামলা পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছেন প্রধানবিচারপতি উমর আটা বান্ডিয়ালকে নিয়ে গঠিত পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চের বাকি চার বিচারপতি হলেন ইজাজুল হাসান, বিচারপতি মুনিব আখতার, বিচারপতি ইয়াহা আফ্রিদি এবং বিচারপতি সৈয়দ মাজাহার আলি আকবর নকভি।
বেঞ্চ জানিয়েছে, ইমরানের ওই কর্মসূচি নিয়ে সর্বোচ্চ আদালত বুধবার যে রায় দিয়েছিল তা বহাল থাকবে। এই নির্দেশের পাশাপাশি সর্বোচ আদালত গতকাল জানিয়েছিল, ইমরানের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তা নিরসন করতে সরকার এবং বিরোধীপক্ষ আলোচনায় বসুক। কিন্তু উভয়পক্ষের কাছে ব্যাপারটা হয়ে গিয়েছিল বেডা়লের গলায় ঘণ্টা কে বাঁধবে।
ইমরান আগেই জানিয়ে দেন, ইসলামাবাদ অভিযান থেকে সরে আসার প্রশ্নই ওঠে না। অন্যদিকে, পাক সরকার এই মিছিল রুখতে বদ্ধপরিকর ছিল। যদিও সরকারের যাবতীয় চেষ্টাকে ব্যর্থ প্রমাণ করে ইমরান খান যথারীতি পাক পার্লামেন্টের সামনে হাজির হন। কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি সরকারকেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। জানিয়েছেন, আগামী ছদিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচনের দিন তারিখ ঘোষণা করতে হবে। না হলে আবার তিনি ইসলামাবাদ ঘেরাও করেন। পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মনে করছেন, শাহবাজ সরকার কোনো অবস্থাতেই ইমরানের ওই দাবি মেনে নেবেন না এবং ইমরান ফের মাঠে নামবে।
আরও পড়ুন হয় নির্বাচন, না হলে নির্বাসন: পাক-সরকারকে ‘বাউন্সার’ ইমরানের