নিজস্ব প্রতিনিধি: মধ্যপ্রাচ্য(Middle East) জুড়ে কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে গেলেন পোপ ফ্রান্সিস(Pope Francis)। কেননা এদিন তিনি প্যালেস্টাইনের(Palestine) জঙ্গি সংগঠন(Terror Organization) হামাসকে(Hamas) অনুরোধ করেছেন তাঁদের হাতে ধরা পড়ে বন্দি হওয়া ইজরায়েলী সেনা ও নাগরিকদের(Hamas Hostages) ছেড়ে দিতে। ইজরায়েলের(Israel) জন্য প্রাণ কাঁদছে পোপের। অথচ গাজার(Gaza Strip) মানুষদের জন্য তাঁর হৃদয়ে ছিঁটেফোঁটা জায়গা নেই। তিনি হামাসকে বলছেন বন্দি ইজরায়েলীদের ছেড়ে দিতে, কিন্তু তিনি একবারের জন্যও ইজরায়েলকে বলছেন না গাজায় হামলা চালানো বন্ধ করতে। পোপের এই দ্বিচারিতার জন্য এদিন মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলি তাঁর নিন্দা ও সমালোচনায় সরব হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া ভরে যাচ্ছে পোপের নিন্দা ও সমালোচনায়।
এদিকে ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধ যে চট করে শেষ হবে না এবং আজ না হোক কাল ইজরায়েলকেও যে পাল্টা প্রত্যাঘাতের মুখে পড়তে হবে সেটা বুঝেই এদিন নরওয়ের সরকার পদক্ষেপ করা শুরু করে দিল। সে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বিমান সংস্থা Norwegian Air জানিয়েছে এদিন তাঁরা ইজরায়েলের রাজধানী তেল আভিভ থেকে নরওয়ীর রাজধানী ওসলোর জন্য একটি বাড়তি বিমান দিচ্ছেন যাতে ইজরায়েলে আটকে পড়া নরওয়ের নাগরিক ও বাসিন্দারা দ্রুত সেখান থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেন। এদিন সন্ধ্যাতেই তেল আভিভ থেকে সেই বিশেষ বিমান ছাড়বে। শুধু তাই নয়, Norwegian Air জানিয়েছে কোপেনহেগেন ও স্টকহোম থেকে তাঁরা তেল আভিভের বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখছে যতদিন না ফের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়েছে।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকার নাগরিকেরা(Indian-Americans) একটি শান্তি মিছিল বের করেন গতকাল। প্যালেস্তনীয় জঙ্গি সংগঠন হামাসের হামলার জেরে ইজরায়েলের যে সব মানুষজনের মৃত্যু হয়েছিল তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই সেই মিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলের আয়োজকদের দাবি, সন্ত্রাসবাদ শুধু ইজরায়েলের জন্যই বিপদজনক তা নয়, সন্ত্রাসবাদ মানবতা ও বিশ্বশান্তির জন্যও বিপদজনক। যে কোনও মূল্যে সব কিছু শেষ হয়ে যাওয়ার আগে তা থামাতে হবে।