নিজস্ব প্রতিনিধি: গ্রাম বাংলার(Rural Bengal) দখল কাদের হাতে থাকবে তার জন্যই রাজ্যে এখন চলছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের(Panchayat Election) যুদ্ধ। আগামী ৮ জুলাই গ্রাম বাংলার মানুষ বুথে গিয়ে তাঁদের মতামত ব্যালট পেপারে দিয়ে আসবেন। কিন্তু এবারারে পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের(West Bengal State Election Commission) কাছে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে পর্যাপ্ত ভোটকর্মীর অভাব। এবারে রাজ্যের ৬০ হাজারেরও বেশি বুথে ভোট নেওয়া হচ্ছে। তার জন্য শুধু বুথেই লাগবে ৩ লক্ষ ৮ হাজার ১৮০ জন ভোটকর্মী। এর পর গণনাতেও আরও ভোটকর্মীর প্রয়োজন। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ৪ লক্ষের মতো। কিন্তু এই সংখ্যক ভোটকর্মী পাওয়া নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। নেপথ্যে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের(West Bengal State Government Employees) একাংশ যারা এক এক সময় এক এক রকম দাবি তুলছেন। কখনও তাঁরা বলছেন, বকেয়া DA না দিলে ও কেন্দ্রের হারে তা দেওয়া না হলে তাঁরা পঞ্চায়েত ভোটে ডিউটি দেবেন না। আবার কখনও বলছেন রাজ্যের সব বুথে কেন্দ্র বাহিনী মোতায়েন না করলে তাঁরা ভোটের ডিউটি করবেন না। এই অবস্থায় কমিশন রাজ্যে যত বেশি সম্ভব সম্পূর্ণ ভাবে মহিলা পরিচালিত Pink Booth করার দিকে হাঁটা দিল।
আরও পড়ুন গ্রাম পঞ্চায়েতে লাগু করতেই হবে ডিজিটাল লেনদেন, নির্দেশ কেন্দ্রের
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তো বটেই রাজ্যের আগেরকার সব নির্বাচনের সব রেকর্ড এবার ভেঙে যেতে বসেছে। কেননা এবারের নির্বাচনে রাজ্যে দেড় হাজারেরও বেশি Pink Booth করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ১৫৬৬টি সম্পূর্ণ মহিলা কর্মী পরিচালিত বুথ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই সব বুথে প্রায় দশ হাজার মহিলা ভোটকর্মী কাজ করবেন। সবচেয়ে বেশি মহিলা পরিচালিত বুথ তৈরি হচ্ছে মুর্শিদাবাদে, ৫৪০টি। এর পাশাপাশি রাজ্যের নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার, বীরভূম, হুগলি জেলাতেও সম্পূর্ণভাবে মহিলা পরিচালিত বুথ গড়া হচ্ছে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারে মহিলা সরকারি কর্মী ও শিক্ষিকাদেরও ভোটের কাজে নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের জন্য উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে প্রত্যন্ত এলাকায় তাঁদের ভোটের কাজের দায়িত্ব না দেওয়ার কথা জেলা প্রশাসনকে বলা হয়েছে।