এই মুহূর্তে




কেন্দ্রের জন্য সব বুথে ছিল না কেন্দ্রীয় বাহিনী, দাবি রাজীবের




নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলায়(Bengal) পঞ্চায়েত নির্বাচনের(Panchayat Election) জন্য গত শনিবার অর্থাৎ ৮ জুলাই ভোটগ্রহণ করা হয়। সেদিন হানাহানি হিংসার ঘটনায় প্রায় ১৫জন মারা যান। সেই ভোট মেটার পরেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের(West Bengal State Election Commission) বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ এনেছিল BSF। তাঁদের দাবি ছিল, কমিশনের কাছ থেকে সংবেদনশীল বুথের তালিকা চেয়েও তাঁরা তা পাননি। প্রথা মেনে বাহিনী মোতায়েনের আগে যে তথ্য দেওয়ার কথা ছিল কমিশনের, তা শেষ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। কিন্তু এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার, BSF’র সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা কেন্দ্র সরকারকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর(Central Para Military Force) অপর্যাপ্ততার জন্য কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা(Rajib Sinha)। তিনি এদিন সাফ জানিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের ১০ হাজারের বেশি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতেই পারেনি কেন্দ্র সরকার।  

আরও পড়ুন যোগ্য ব্যক্তির হাতেই দলের দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন মমতা

মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোটের গণনার দিন নির্বাচন কমিশনের অফিস থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজীব। তিনি জানান, ভোটে রাজ্যের কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে অশান্তি হয়েছে। কিন্তু প্রতি ক্ষেত্রেই কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন, ‘সাধারণ মানুষ এবং কিছু রাজনৈতিক দলের ধারণা ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে ভোটের সময় অশান্তি কম হবে। বাহিনীর জন্য বাড়তি ভয় কাজ করবে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কাজ করেছি। প্রথমে আদালত বলেছিল প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। পরে সেই নির্দেশে সংশোধন করে বলা হয়, যে ক’টি বুথে সম্ভব বাহিনী দিতে হবে। আমার মনে হয় না ১০ হাজারের বেশি বুথে ওরা বাহিনী দিতে পেরেছে। BSF’র পরিকল্পনায় স্পর্শকাতর বুথের কোনও গল্প ছিল না। জেলাভিত্তিক স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা আমরা জানিয়ে দিয়েছিলাম। আমরা বলেছিলাম শুধু স্পর্শকাতর কেন, ডিএম এবং এসপির সঙ্গে কথা বলে প্রতি বুথেই বাহিনী দেওয়া হবে। BSF যদি স্পর্শকাতর বুথের তালিকা না-ই পায়, তা হলে ওরা বুথগুলিতে বাহিনী দিল কী করে?’

আরও পড়ুন মমতার প্রকল্পের হাত ধরেই গ্রামে গ্রামে তৃণমূল ঝড়

রাজীব এদিন আরও জানিয়েছেন যে, কমিশন হিসাবে গোটা রাজ্যে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে তাঁরা দায়বদ্ধ। সেই অনুযায়ী সমস্ত বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ভোটের দিন যা যা অশান্তির খবর কমিশনের কাছে এসেছিল, তার ভিত্তিতে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। নানা অভিযোগ, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ইত্যাদি খতিয়ে দেখে ভোটের পর ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুনর্নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবেই হয়েছে। মঙ্গলবার মোট ৩৩৯টি কেন্দ্রে ভোটের গণনা চলছে। হাতেগোনা কয়েকটি বুথে গণনা শুরু হতে দেরি হয়েছে। গণনাকেন্দ্রে এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে রাজ্য পুলিশের শতাধিক কর্মী। গণনাও শান্তিপূর্ণ ভাবেই চলছে। পাঁচ থেকে ছ’টি জেলায় গণনার দিন অশান্তি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনার। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনার মাধ্যমে রাজ্যের সামগ্রিক চিত্র তুলে না ধরার জন্য সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধও করেছেন তিনি।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

আকাইপুর গ্রামের জয়ী সিপিআইএম প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দিলেন

ভোট শেষেও যত্রতত্র রয়েছে রাজনৈতিক দলের ব্যানার, ফেস্টুন, পতাকা

মালদা ও বীরভূমে উদ্ধার হওয়া বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করল পুলিশ

তমলুকে বিজয় মিছিল থেকে তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতে হামলা

ইসলামপুরে তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে রাতের অন্ধকারে আগুন দিল বিজেপি

জঙ্গলমহলের একাধিক গ্রামে পুলিশের রুট মার্চ

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর