নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলায়(Bengal) আবারও পঞ্চায়েত নির্বাচনের(Panchayat Election) পদধ্বনি! রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) দায়ের করা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটে যারা জয়ী হয়েছেন তাদের ভাগ্য নির্ভর করছে মামলার রায়ের ওপরে। শুক্রবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের(West Bengal State Election Commission) পক্ষ থেকে জেলা শাসকদের(District Magistrate) কাছে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টতই তা জানানো হয়েছে। এমনকি সেই এই বিষয়টি অতি দ্রুত জয়ী প্রার্থীদের জানানোর জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার তার সঙ্গে রাজ্যের প্রতিটি জেলাশাসকের কাছে কমিশন আরও এক নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ৯ জুলাই বিজেপির তরফে ইমেল করে একটি তালিকা দেওয়া হয়। সেই তালিকায় ৬ হাজার বুথের উল্লেখ ছিল। বিজেপির দাবি ছিল সেইসব বুথে পুনর্নির্বাচন করাতে হবে। জেলাশাসকদের সেই তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। জেলাশাসকদের থেকে একটি রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন। বলা হয়েছে, যেসব বুথের উল্লেখ করা হয়েছে, সেসব বুথে পুনর্নির্বাচনের কোনও কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখে একদিনের মধ্যেই কমিশনকে জানাতে হবে।
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণের পরেই আইনজীবী মহলে জল্পনা শুরু হয়, তাহলে কী পঞ্চায়েত নির্বাচন বাতিলের মতো নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নেবে আদালত? যদিও প্রবীণ আইনজীবীদের মতে, নির্বাচন বাতিলের এক্তিয়ার নেই কলকাতা হাইকোর্টের। কিন্তু এখন রাজ্য নির্বাচন কমিশন যেভাবে জেলা শাসকদের কাছ থেকে ৬ হাজার বুথের ভোট রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে তাতে করে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে যে, নতুন করে এই ৬ হাজার বুথে কী আবারও ভোটগ্রহণ করা হবে? উল্লেখ্য গত ৮ জুলাই ছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন। সেই দিন ছাড়াও ১০ জুলাই কমিশন রাজ্যের ৬৯৬ বুথে পুনর্নির্বাচন করালেও তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি বিরোধীরা। বিজেপির অভিযোগ, তারা ৬ হাজার বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিল। এবার দেখার বিষয় জেলা শাসকেরা এই সব বুথ নিয়ে কী রিপোর্ট দেন।