নিজস্ব প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: লড়লেন শুধু উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম। বাকি ব্যাটসম্যানরা অসহায়ের মতো আত্মসমর্পণ করলেন। আর তার ফলেই দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে লিটন দাসের বাংলাদেশকে ১৪২ রানে হারাল আফগানিস্তান। সেই সঙ্গে একদিনের সিরিজও জিতে নিলেন রশিদ খান-রহমানুল্লাহ গুরবাজরা।
শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে নয় উইকেট হারিয়ে ৩৩১ রান তোলে আফগানিস্তান। দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ আর ইব্রাহিম জাদরানের জোড়া শতরানের সুবাদে রানের পাহাড় গড়ে হাসমাতুল্লাহ শাহিদির ছেলেরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে আফগান বোলারদের কাছে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করতে থাকেন টাইগাররা। একবার জীবন ফিরে পেলেও বেশিদূর এগোতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। ১৩ রান করে ফিরে যান তিনি। তিন নম্বরে নামা নাজমুল হাসান শান্ত এক রান করে সাজঘরের পথ ধরেন। আর এক ওপেনার মোহাম্মদ নাইম আউট হন ৯ রান করে। ২৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে সমস্যায় পড়ে টাইগাররা।
এর পরে চতুর্থ উইকেটে জুটি বেঁধে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা চালান সাকিব আল হাসান ও তৌহিদ হৃদয়। দুজনে ৪০ রান যোগ করেন। বাংলাদেশের সমর্থকরাও দুই ব্যাটারের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। কিন্তু নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই হৃদয়কে সাজঘরে ফিরিয়ে টাইগার শিবিরে ধাক্কা দেন রশিদ খান। আফগান স্পিনারের গুগলি বুঝতেই পারেননি বাংলাদেশের তরুণ ব্যাটার। পরের ওভারেই থিতু হয়ে যাওয়া সাকিবকে ফেরান মহম্মদ নবি। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা বল ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে মিস করে যান টাইগার অলরাউন্ডার। দুই বল বাদে আফিফ হোসেনকে আউট করে টাইগারদের হারের মুখে নিয়ে দাঁড় করান রশিদ খান। সপ্তম উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে দলকে লজ্জার হারের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম। দুজনে ৮৭ রান যোগ করেন। মেহেদীকে (২৫) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মুজিব উর রহমান। দ্রুত ফিরে যান হাসান মাহমুদ (৪)। বুক চিতিয়ে খেলা মুশফিকুর রহিমকে (৬৯) ফিরিয়ে বাংলাদেশকে গুটিয়ে দেন ফজল হক ফারুকি। বল করতে গিয়ে চোট পাওয়া এবাদত হোসেন ব্যাট করতে নামেননি। ফলে ৪৩.২ ওভারে ১৮৯ রানেই শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। ১৪২ রানে জিতে সিরিজ জিতে যান রশিদ খানরা।