নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজনীতিতে কী পা রাখতে চলেছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য মহম্মদ শামি? সূত্রের খবর, বিজেপির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ভারতীয় দলের অন্যতম জোরে বোলারকে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থেকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যদিও পদ্ম শিবিরের প্রস্তাবে যেমন সম্মতি জানাননি শামি, তেমনই খারিজও করে দেননি। প্রস্তাব ভেবে দেখার জন্য সময় চেয়েছেন।
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট আসনটি কার্যত সংখ্যালঘু ও আদিবাসী অধ্যুষিত। ২০০৯ সাল থেকেই আসনটি তৃণমূলের দখলে। সেবার জিতেছিলেন হাজি নুরুল ইসলাম। ২০১৪ সালে তাঁকে সরিয়ে প্রার্থী করা হয় ইদ্রিস আলিকে। তিনিও হেসেখেলে জয়ী হন। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ওই আসন থেকে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী তথা বিতর্কিত অভিনেত্রী নুসরত জাহান। বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুকে ৩ লক্ষ ৫২ হাজারের মতো ভোটে হারিয়েছিলেন। তবে এবার আর বিতর্কিত কার্যকলাপের অভিযোগে নুসরতকে প্রার্থী করতে চাইছেন না তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সৎ ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কোনও প্রার্থীকে দাঁড় করাতে চাইছেন। আর শাসকদলের নয়া প্রার্থীকে হারিয়ে বসিরহাট দখলে বাংলার হয়ে রঞ্জি খেলা মহম্মদ শামিকেই তুরুপের তাস করতে চাইছেন পদ্ম শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রেক্ষিতে শাসকদলের বিরুদ্ধে একটা চোরাস্রোত বইছে। ওই চোরাস্রোত কাজে লাগাতে বসিরহাট লোকসভা আসনে মহম্মদ শামিকে প্রার্থী করার চিন্তাভাবনা করেছেন পদ্ম শিবিরের শীর্ষ নেতারা। একদিকে ক্রিকেটার হিসাবে তাঁর জনপ্রিয়তা কাজে লাগানোর পাশাপাশি মুসলিম হিসাবে সংখ্যালঘুদের আবেগেও সুড়সুড়ি দিয়ে ফায়দা লুঠতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা। মুসলিম হলেও দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির কট্টর সমর্থক হিসাবে পরিচিত মহম্মদ শামি। সুযোগ পেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভজনায় মেতে ওঠেন।