নিজস্ব প্রতিনিধি: ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে আন্দোলন করে গোটা দেশে ঝড় বইয়ে দিয়েছেন জাতীয় কুস্তিগীররা। তার জেরেই কার্যত এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, প্রথম দিকে ব্রিজভূষণ ইস্যুতে কেন্দ্র নীরব থাকলেও পরবর্তীকালে এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে ক্রীড়ামন্ত্রী যেভাবে আন্দোলনরত কুস্তিগীরদের সঙ্গে বৈঠক করছেন এবং দিল্লি পুলিশ যেভাবে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে তাতে তাঁর পদ যাওয়া ও গ্রেফতার হওয়া কার্যত সময়ের অপেক্ষা। তাই শেষ পর্যন্ত গ্রেফতারি এড়াতেই এতদিন বাদে রবিবার তাঁর মুখে শোনা গেল মোদি ভঞ্জনা। যা করলে তিনি হয়তো ভাবছেন হয়তো এ যাত্রায় দল তাঁকে বাঁচিয়ে দেবে। কিন্তু আদৌ কি দল তাঁর পাশে দাঁড়াবে? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন যে, আগামী ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন, সেই নির্বাচনে কুস্তিগীরদের আন্দোলনের ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রীয় শাসকদল বেশ চাপে পড়বে। তাই আগে থেকেই দল বাঁচাতে ব্রিজভূষণের ওপর থেকে ধীর ধীরে হাত তুলে নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবং তার প্রমাণ সম্প্রতী এই ইস্যুতে প্রথম দিকে নীরব থাকা দিল্লি পুলিশের সম্প্রত অতি নাড়াচড়া। ইতিমধ্যেই পুলিশ বজরং—ভিনেশদের কাছে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে অভিযোগের সমস্ত ছবি, ভিডিও, মেসেজ চেয়ে পাঠিয়েছে। যা নিয়েও বেশ চিন্তায় পড়েছেন তিনি। বিরোধীরাও চাপে ফেলছে কেন্দ্রের সরকারকে। তাই এবার মোদি ভঞ্জনা শুরু করে শেষ বাঁচার চেষ্টা করছেন ব্রিজভূষণ।
দল ও নরেন্দ্র মোদিকে খুশি করতেই রবিবার এক শোভাযাত্রার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ১৯৪৭ সালের দেশভাগ থেকে ১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গা-সহ ১৯৭১ পাকিস্তান এবং ১৯৬২-তে চিন যুদ্ধ নিয়ে পুরনো কাসুন্দি ঘাটার চেষ্টা করে কংগ্রেসকে তোপ দাগছেন ব্রিজভূষণ। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হবে না বলেই মনে করছেন অভিজ্ঞ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।