নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি বছরের চ্যাম্পিয়ান্স লিগের ফাইনাল ম্যাচের সঙ্গে এক অদ্ভুত মিল রয়েছে আজ থেকে প্রায় ১৮ বছর আগের চ্যাম্পিয়ান্স লিগের ফাইনাল ম্যাচের। তবে এই মিল কিন্তু ফলাফলের দিক থেকে নয়। মিল রয়েছে অন্য সব বিষয়ে। যা দেখলে অনেকেই হয়তো ঘাবড়ে যাবেন। আবার কেউ কেউ স্মৃতি রোমান্থনেরও চেষ্টা করে খুঁজে নিতে চাইবেন সেই পুরনো ইতিহাসটা। কি মিল রয়েছে ১৮ বছর আগের চ্যাম্পিয়ান্স লিগের ফাইনাল ম্যাচের সঙ্গে ২০২৩-এর চ্যাম্পিয়ান্স লিগের ফাইনাল ম্যাচের।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের চ্যাম্পিয়ান্স লিগের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইস্তানাবুলে। যে স্টেডিয়ামে ওই ফাইনাল ম্যাচটি হয়েছিল সেই স্টেডিয়ামটি আতাতুর্ক স্টেডিয়াম। অর্থ্যাৎ শনিবার রাতে চলতি বছরের চ্যাম্পিয়ান্স লিগের ফাইনাল ম্যাচটিও অনুষ্ঠিত হবে ইস্তানাবুলের আতাতুর্ক স্টেডিয়ামে।
এর পরে যে মিলটি রয়েছে, সেটি হল ২০০৫ সালে চ্যাম্পিয়ান্স লিগের ফাইনাল ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ক্লাব লিভারপুল মুখোমুখি হয়েছিল ইতালির অন্যতম সেরা ক্লাব এসি মিলানের। অবশ্য চলতি বছরেও এই ফাইনাল ম্যাচে পরস্পরের মুখোমুখি ইতালি ও ইংল্যান্ডের দুই ক্লাব। কিন্তু এই বছরে দুই একই দেশ থাকলেও ক্লাব দুটি ভিন্ন। এবার মুখোমুখি ম্যাঞ্চেস্টার সিটি বনাম ইন্টার মিলান।
আরও জানতে পড়ুন: মিলান বনাম সিটির যুদ্ধে বাঁশি থাকবে বিশ্বকাপ ফাইনালের রেফারির মুখে
এবার দেখা যাক সেই ম্যাচে কি ফলাফল হয়েছিল। যা মনে করলে অনেকেই এখনও বিশ্বাস করতে পারেন না। হ্যাঁ সেদিন ইস্তানাবুলের আতাতুর্ক স্টেডিয়ামের সবুজ গালিচায় লেখা হয়েছিল রূপকথার এক ইতিহাস। যা আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে ফুটবল বিশ্বের ইতিহাস বইয়ের পাতায়। ৪৪ মিনিটের মধ্যে এক বা দুই গোল নয়, তিন গোলে এগিয়ে ছিল এসি মিলান।
বিরতির পর ঠিক মাত্র ৭ মিনিটের একটা ব্রিটিশ সাইক্লোন আছড়ে পড়েছিল ইতালির ক্লাবটির সীমানায়। সেই সাইক্লোনে তখন মিলানের ফুটবলাররা একেবারে ধরাশায়ী। ম্যাচের বয়স ৫৪ মিনিট সেই শুরু ব্রিটিশ ঝড়ের। ৬১ মিনিটে ঝড় থামল বটে, কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ ৭ মিনিটের মধ্যে তিন গোল শোধ করে ব্রিটিশ ক্লাবটি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেই বাজিমাত লিভারপুলের।
ট্রফি জয় থেকে মাত্র কয়েক হাত দূরে দাঁড়িয়ে সেদিন মিলানের ফুটবলাররা অবাক চোখে দেখেছিলেন সেই করুণ দৃশ্যটি। তবে কি ২০২৩-এর শনিবারে এইরকমই এক ব্রিটিশ সাইক্লোন দেখা যাবে, নাকি সেদিনের এসি মিলানের বদলা এবার ইন্টার মিলান নেবে, প্রশ্নটা কিন্তু রয়েই গেল।