নিজস্ব প্রতিনিধি: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি টোয়েন্টি সিরিজের মরণ-বাঁচন ম্যাচেও জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হার্দিক পাণ্ড্য বাহিনী। রবিবার প্রথমে ব্যাট করে সাত উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান তুলেছে টিম ইন্ডিয়া। তিলক ভার্মা বাদে আর কোনও ব্যাটারই বড় রানের ইনিংস খেলতে পারেননি। ফের ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন শুভমন গিল ও সঞ্জু স্যামসন। দুজনেই দলের কাছে বোঝা হয়ে উঠেছেন।
রবিবার গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টসে জিতে এদিন প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য। কিন্তু তাঁর সিদ্ধান্ত কার্যত ব্যুমেরাং হয়ে যায়। তৃতীয় ওভারেই আলজারি জোসেফের বলে সিমরন হেটমায়ারের হাতে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন শুভমন গিল (৭)। পরের ওভারে অকারণে রান নিতে গিয়ে আউট হয়ে যান সূর্যকুমার যাদব (১)। ১৮ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চরম বিপাকে পড়ে টিম ইন্ডিয়া। এর পরে তৃতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে বিপদ থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন ঈশান কিষান ও তিলক ভার্মা। দু’জনে দেখে শুনে খেলতে থাকেন। ৮.২ ওভারে ৫০ রানের গণ্ডি পেরোয় ভারত। দশম ওভারে রোমারিও শেফার্ডের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ঈশান।
সঞ্জু স্যামসন এদিন ফের ব্যর্থ হন। সাত বলে সাত রান করে আকিল হোসেনের বলে নিকোলাস পুরানের হাতে ক্যাচ তুলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এর পরে জুটি বেঁধে দলকে ভদ্রস্থ রানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিলক ও অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য। তবে বেশ কয়েকবার জীবন পান তিলক। ২৫ রানের মাথায় তাঁর ক্যাচ ফেলে দেন রোমারিও শেফার্ড। ফের ৩০ রানের মাথায় ফের ক্যাচ ফেলেন ম্যাককয়। দু’বার জীবন ফিরে পাওয়ার পরে ৩৯ বলে আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে জীবনের প্রথম অর্ধশতরান পূরণ করেন তরুণ ব্যাটার। ১৪.২ ওভারে ১০০ রানের গণ্ডি পেরোয় ভারত। অর্ধশতরানের পরেই আকিল হোসেনের বলে সাজঘরে ফেরেন তিলক (৫১)। অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য ১৭ বলে ২৪ করেন। অক্ষর পটেলের অবদান ১১ বলে ১৪ রান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান তোলে টিম ইন্ডিয়া। রবি বিষ্ণোই (৮ রান) ও আরশদীপ সিং (৬ রান) অপরাজিত থাকেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আকিল হোসেন, আলজারি জোসেফ ও রোমারিও শেফার্ড দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।