নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হয়েছিলেন ব্যাটাররা। আর বল হাতে জঘন্য বোলিং করলেন বোলাররা। আর তার ফলে লখনউ সুপার জায়ান্টসের পরে মঙ্গলবার গুজরাত টাইটানসের কাছেও হারতে হলো সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দিল্লি ক্যাপিটালসকে। ১১ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় হার্দিক পাণ্ড্যরা। জয়ের প্রধান কাণ্ডারী গুজরাতের দুই ব্যাটার সাই সুদর্শন ও ডেভিড মিলার।
কোটলা স্টেডিয়ামে এদিন প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে আট উইকেটের বিনিময়ে ১৬২ রান তোলে দিল্লি ক্যাপিটালস। জয়ের জন্য ১৬৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে শুরু থেকেই হাত খুলে খেলতে শুরু করেন গুজরাতের দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমন গিল। কিন্তু তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে ঋদ্ধিমানকে (৭ বলে ১৪) সাজঘরের পথ দেখান নর্তজে। দলীয় স্কোর বোর্ডে ১৪ রান যোগ হতেই নর্তজের বলে ফিরে যান গিল (১৩ বলে ১৪)। হার্দিক পাণ্ড্যও তেমন সুবিধা করতে পারেননি। গুজরাত অধিনায়কের অবদান মাত্র ৪ বলে ৫ রান। ৫৪ রানে তিন টপ অর্ডার ব্যাটার ফিরে যাওয়ায় বিপাকে পড়ে গুজরাত। এর পরে দলকে বিপদ থেকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন সাই সুদর্শন ও ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে নামা বিজয় শঙ্কর। চতুর্থ উইকেটে জুটি বেঁধে দুজনে ৫৩ রান তোলে।
চতুর্দশ ওভারে বল করতে এসে সুদর্শন ও বিজয় শঙ্করের জুটি ভাঙেন মিচেল মার্শ। ২৩ বলে ২৯ রান করে সাজঘরে ফেরার আগে দলকে অনেকটা শক্ত ভিতের ওপরে দাঁড় করিয়ে দিয়ে যান বিজয়। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমেই কার্যত মাঠে বাউন্ডারির ফুলঝুড়ি ছোটান প্রোটিয়া ব্যাটার ডেভিড মিলার। একদিকের ক্রিজ আগলে রাখা সাই ৪৫ বলে নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। অর্ধশতরান পূর্ণ হওয়ার পরেই মারকাটারি ব্যাটিং শুরু করেন সাই। শেষ পর্যন্ত ১১ বল বাকি থাকতেই দলকে জয় এনে দেন দুজনে। মিলার (১৬ বলে ৩১) ও সাই (৪৮ বলে ৬২) অপরাজিত থাকেন।