নিজস্ব প্রতিনিধি: না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবল সচিব অজয় শ্রীমানী। বুধবার দুপুরে উত্তর কলকাতার সুকিয়া স্ট্রিটের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘ দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। প্রবীণ ফুটবল প্রশাসকের প্রয়াণে কলকাতা ময়দানে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ছোটবেলা থেকেই ফুটবলের প্রতি অগাধ প্রেম ছিল অজয় শ্রীমানীর। কলকাতা ময়দানকেই কার্যত ঘরবাড়ি করে ফেলেছিলেন। ঘটি বাড়ির ছেলে হলেও ইস্টবেঙ্গলের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন। ১৯৪৯ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে লাল-হলুদ ক্লাবের সদস্য হয়েছিলেন। জ্যোতিষ গুহর হাত ধরে ধীরে ধীরে ক্লাব প্রশাসনে জড়িয়ে পড়েন। ইস্টবেঙ্গলের স্বর্ণযুগে ফুটবল সচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সুধীর কর্মকার, পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইস্টবেঙ্গলকে সই করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন অজয় শ্রীমানী।তিনি ফুটবল সচিব থাকার সময়েই মহম্মদ হাবিব, মহম্মদ আকবর, সুধীর কর্মকার, সুরজিৎ সেনগুপ্তদের মতো ময়দান কাঁপানো ফুটবলাররা লাল-হলুদ জার্সি চাপিয়েছিলেন গায়ে। অজয় শ্রীমানির জমানাতেই ১৯৭০ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত টানা পাঁচ বার কলকাতা লিগ জিতেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড।
আদ্যোপান্ত ইস্টবেঙ্গলী হওয়া সত্বেও অজয় শ্রীমানিকে সদস্যপদ দিয়েছিলেন মোহনবাগান সচিব ধীরেন দে। যে ক্লাবের হয়ে জীবনের বেশির ভাগ সময় ব্যয় করেছেন, সেই ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ইদানিং আর যোগাযোগ ছিল না অজয় শ্রীমানির। ক্লাবের জঘন্য পারফরম্যান্স তাঁকে যন্ত্রণা দিত। বর্তমান লাল-হলুদ কর্তাদের আচরণেও ক্ষুব্ধ ছিলেন। প্রিয় ক্লাবের উপরে এক রাশ ক্ষোভ নিয়েই না ফেরার দেশে চলে গেলেন ময়দানের সফল ফুটবল প্রশাসক।