নিজস্ব প্রতিনিধি, হায়দরাবাদ: এশিয়া কাপে হতশ্রী পারফরম্যান্স ভুলে আজ শুক্রবার বিশ্বকাপ মিশন শুরু করছে পাকিস্তান। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধি স্টেডিয়ামে গ্রুপ লিগে দুর্বলতম প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে নামছেন বাবর আজম-শাহিন আফ্রিদিরা। শক্তির বিচারে প্রতিপক্ষের তুলনায় কয়েক যোজন এগিয়ে পাকিস্তান। তবে ক্রিকেটে শেষ বল না হওয়া পর্যন্ত আগাম কোনও কিছু বলা সম্ভব নয়।
পরিসংখ্যানের নিরিখে অবশ্য বাস ডি লিডিদের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে বাবর আজমরা। এখনও পর্যন্ত দুই দল মোট ছয়বার পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে। প্রতিবারই জয় পেয়েছে পাকিস্তান। ফলে সপ্তম সাক্ষাৎকারে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য যেমন ঝাঁপাবেন বাবররা, তেমনই ওয়েস্ট ইন্-ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপের মূলপর্বে যোগ্যতা অর্জনকারী নেদারল্যান্ডসও চাইবে সপ্তম সাক্ষাৎকার জিতে ব্যবধান কমানোর।
১৯৯২ সালে ইমরান খানের নেতৃত্বে বিশ্বকাপ ট্রফি ঘরে তুলেছিল পাকিস্তান। তার পরে গত চার দশকে বিশ্বসেরার তকমা অধরাই থেকে গিয়েছে। চার বছর আগে ২০১৯ সালে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও উঠতে পারেননি বাবররা। তবে অতীতের কথা মনে রাখতে চাননা পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থার। চোটের কারণে দলের অন্যতম সেরা পেসার নাসিম শাহকে পাচ্ছে না দল। এমনকি স্পিনারদের পারফরম্যান্সও তেমন আহামরি নয়। ফর্মে নেই অধিনায়ক বাবর আজম ও শাদাব খানের মতো নামী ব্যাটাররা। কিন্তু সেই সব বিষয়কে পাত্তা না দিয়েই আজ মাঠে নামছে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম পরাক্রমশালী দেশ। নেদারল্যান্ডসের মতো দুর্বল দলের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ শাপে অনেকটা বর হয়েছে বলেই মনে করছেন বাবর আজমরা।
তবে শক্তিশালী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে খেলতে হচ্ছে বলে মোটেও চিন্তিত নন ডাচ কোচ রায়ান কুক। তাঁর কথায়, ‘বড় এক স্বপ্ন নিয়েই আমরা বিশ্বকাপ খেলতে এসেছি। সেমিফাইনালে ওঠার জন্য দলের প্রতিটি খেলোয়াড় নিজেদের নিংড়ে দেবে।’