নিজস্ব প্রতিনিধি, হায়দরাবাদ: নেদারল্যান্ডসের বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করে রানের পাহাড় গড়লেন রাচিন রবীন্দ্র-উইল ইয়ংরা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩২২ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড। অর্ধ শতরান করেছেন তিন কিউই ব্যাটার। শেষ দিকে মিচেল সান্তনারের ১৭ বলে ৩৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস নিউজিল্যান্ডকে ৩০০ রানের গণ্ডি পেরোতে সাহায্য করেছে।
সোমবার হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধি স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। দুই কিউই ওপেনার উইল ইয়ং ও আগের ম্যাচে শতরান পাওয়া ডেভন কনওয়ে দেখেশুনে খেলতে থাকার পাশাপাশি রান মেশিন সচল রাখেন। ১৩তম ওভারে ভ্যান ডার মারউইয়ের বলে ৩২ রানে সাজঘরে ফেরেন কনওয়ে। এর পর দ্বিতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান ইয়ং ও রাচিন রবীন্দ্র। জুটি বেঁধে দুজনে ৭৭ রান যোগ করার পরে ব্যক্তিগত ৭০ রানে ফিরে যান ইয়ং। তৃতীয় উইকেটে রবীন্দ্র এবং ডারিল মিচেল নিশ্চিন্তেই সামাল দেন ডাচ বোলারদের আক্রমণ। আগের ম্যাচে শতরান পেয়েছিলেন। এদিন ফের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন রবীন্দ্র। যদিও অর্ধ শতরানের পরেই মারউইয়ের বলে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
যদিও তাতে খুব একটা সমস্যায় পড়েনি কিউইরা। কেননা চতুর্থ উইকেটে জুটি বেঁধে মিচেল ও কিউই অধিনায়ক টম লাথাম ডাচ বোলারদের শাসন করতে থাকেন। অর্ধ শতরানের মুখে মেকেরনের বলে আচমকা আউট হন ডারিল (৪৮)। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা গ্লেন ফিলিপসকে (৪) দ্রুত ফেরান বাস ডি লিডি। ৪৫ তম ওভারে মাক চ্যাপমানকে (৫) ফিরিয়ে দেন আরিয়ান দত্ত। পর পর তিন উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পরে গিয়েছিল গত বারের বিশ্বকাপের রানার্সরা। আট নম্বরে নেমে শুরু থেকে তাণ্ডব চালিয়ে সেই চাপ কাটান বোলার মিচেল সান্তনার। ৪৯তম ওভারে কিউই অধিনায়ক টম লাথামকে (৫৩) সাজঘরের পথ দেখান আরিয়ান দত্ত। কিন্তু শেষ আট বলে ২৯ রান তোলেন সান্তনার ও ম্যাট হেনরি। শেষের দুই বলে পর পর ছক্কা হাঁকান সান্তনার। তার ওই ব্যাটিং তাণ্ডবের উপরে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩২২ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। ডাচদের পক্ষে আরিয়ান দত্ত, মারউইয়ে, মেকেরন দুটি করে এবং বাস ডি লিডি একটি উইকেট নিয়েছেন।