নিজস্ব প্রতিনিধি, বেঙ্গালুরু: প্রহারেণ ধনঞ্জয়। পাকিস্তানের বাঘা বোলারদের পিটিয়ে ছাতু করে রানের পাহাড় গড়ল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র আর অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের দুর্দান্ত জুটিতে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪০১ রান তুলল কিউইরা। বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে ৪০২ রান তুলতে হবে বাবর আজমদের। রানের পাহাড় তাড়া করে পাকিস্তানের জেতা কঠিন বলেই মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
শনিবার সকালে বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন পাক অধিনায়ক। কিন্তু তাঁর সেই সিদ্ধান্ত কার্যত আত্মঘাতী হয়ে দাঁড়ায়। দুর্দান্ত শুরু করেন দুই কিউই ওপেনার ডেভন কনওয়ে এবং রাচিন রবীন্দ্র। ওপেনিং জুটিতে ৬৮ রান তোলেন দুজনে। কনওয়েকে ফিরিয়ে নিউজিল্যান্ড শিবিরে প্রথম ধাক্কা দেন হাসান আলি। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। চোট কাটিয়ে দলে ফেরা কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও রবীন্দ্র জুটি বেঁধে শাহিন আফ্রিদি-হ্যারিস রাউফ-ইফতিখার আমেদদের শাসন করতে থাকেন। ৫১ বলে নিজের চতুর্থ অর্ধশতরানে পৌঁছে যান রবীন্দ্র। খানিকবাদে ৪৯ বলে ৪৪তম অর্ধশতরান করেন কিউই অধিনায়ক। আর অর্ধশতরানের পরে দুই কিউই ব্যাটার আরও নির্দয় হয়ে ওঠেন। ২৯ ওভারেই ২০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ৮৮ বলে চলতি বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় শতরান পূর্ণ করেন রবীন্দ্র। শেষ পর্যন্ত ৩৫তম ওভারে বল করতে এসে শতরানের দোরগোড়া থেকে উইলিয়ামসনকে (৯৫) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন ইফতিখার আমেদ। খানিকবাদে রবীন্দ্রকে ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ ওয়াসিম।
চতুর্থ উইকেটে জুটি বেঁধে ড্যারিল মিচেল ও মার্ক চ্যাপম্যান শুরু করেন তাণ্ডব। দুজনে ৩১ বলে ৫৭ রান যোগ করেন। ড্যারিলকে (১৮ বলে ২৯) থামান হ্যারিস রউফ। কিন্তু তাতেও দমে যাননি চাপম্যান। চালিয়ে খেলতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার আগে ২৭ বলে ৩৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। ষষ্ঠ উইকেটে জুটি বেঁধে দলকে ৪০০ রানের গণ্ডি পার করাতে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন ফিলিপস ও মিচেল স্যান্টনার। ২৫ বলে ৪১ করে ওয়াসিমের বলে সাজঘরে ফেরেন ফিলিপস। শেষ পর্যন্ত দলকে ৪০০ রানের গণ্ডি পার করিয়ে দেন স্যান্টনার ও টম লাথাম। ১৭ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন স্যান্টনার।