নিজস্ব প্রতিনিধি : ম্যাচের শুরু থেকে ধারাবাহিক উইকেট পতন। রাজস্থান রয়্যালসের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারল না পঞ্জাব কিংসের কোনও ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত রাজস্থানের সামনে জয়ের জন্য ১৪৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখে পঞ্জাব কিংস।
এদিন প্রথমে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান রয়্যালস। ফলে ব্যাট করতে নামে পঞ্জাব কিংস।শিখর ধওয়ান না থাকায় এদিন অথর্ব তাওরে সঙ্গে জনি বেয়ারস্টো খেলতে নামেন। খেলতে নেমে ধারাবাহিকভাবে উইকেট পতন হতে শুরু করে পঞ্জাব শিবিরে। ২৭ রানের মাথাতেই অথর্ব আবেশ খানের বলে আউট হয়ে যায়। এরপরে প্রভসিমরন সিং খেলতে নামে। কিন্তু প্রভসিমরন বেশিক্ষণ ক্রিজে টেকেননি। ৪১ রানের মাথাতেই প্রভসিমরনও আউট হয়ে যান। প্রভসিমরনকে আউট করেন যুজবেন্দ্র চাহাল। প্রভসিমরন আউট হওয়ার পরই ৪৭ রানের মাথায় ফের উইকেট পতন হয়। ৪৭ রানের মাথাতে আউট হয়ে যান জনি বেয়ারস্টো। জনি বেয়ারস্টো ১৯ বলে মাত্র ১৫ রান করে কেশব মহারাজের বলে আউট হয়ে যান।
বেয়ারস্টো আউট হওয়ার পাঁচ রানের মাথাতেই ফের উইকেট পতন হয় পঞ্জাব শিবিরে। অধিনায়ক স্যাম কারেন মাত্র ৬ রানের মাথায় কেশব মহারাজের বলে আউট হয়ে যান। এরপরে অবশ্য জীতেশ শর্মা শশাঙ্ক সিংকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্জাবের রানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু দলগত ৭০ রানের মাথাতেই ফের উইকেট পতন হয় পঞ্জাব কিংসের। ৯ রান করে কুলদীপ সেনের বলে আউট হয়ে যান শশাঙ্ক। শশাঙ্ক আউট হয়ে যাওয়ার পর ব্যাট করতে নামেন ল্যাম লিভিনস্টোন। জীতেশ শর্মা লিভিনস্টোনকে সঙ্গে নিয়ে ৩৩ রান যোগ করেন। শেষপর্যন্ত ২৪ বলে ২৯ রান করে আউট হয়ে যান জীতেশ শর্মা। এরমধ্যে একবার লিভিংস্টোনের দেওয়া ক্যাচ হাতছাড়া করেন উইকেট কিপার সঞ্জু স্যামন। তবে দলগত ১২২ রানের মাথায় রান আউট হয়ে যায় লিভিংস্টোন। লিভিংস্টোনের ২১ রানের মধ্যে রয়েছে ২টি চার একটি ছয়। ১৮তম ওভারে লিভিংস্টোনের আউটের পর পঞ্জাবকে কিছুটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন আশুতোষ শর্মা ও হরপ্রীত ব্রার। আশুতোষ আবেশ খানের বলে পর পর ছয় মেরে রানের গতিকে কিছুটা বাড়ানোর চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত ১৬ বলে ৩১ রান করে বোল্টের বলে আউট হন আশুতোষ শর্মা। ২০ ওভারে পঞ্জাবের ইনিংস শেষ হয় ১৪৭ রানে। রাজস্থানের হয়ে কেশব মহারাজ ও আবেশ খান ২টি করে উইকেট পান। পাশারাশি ট্রেন্ট বোল্ট, কুলদীপ সেন ও যুজবেন্দ্র চাহালরাও একটি করে উইকেট পান।