আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ম্যাচ জিতলেই শেষ চারে যাওয়া নিশ্চিত ছিল। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় তুলে নিতে পারল না নিউজিল্যান্ড। ২০ রানে হেরে গিয়ে শেষ চারে যাওয়ার লড়াই কঠিন করে ফেলল কেন উইলিয়ামসনরা। অন্যদিকে, এদিন ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছনোর আশা জিইয়ে রাখলেন জস বাটলাররা। পয়েন্ট তালিকায় অস্ট্রেলিয়াকে টপকে দুই নম্বরে উঠে এল।
জয়ের জন্য ১৮০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে কিউইরা। দলের আট রানের মাথায় আউট হন ডেভন কনওয়ে। ২৮ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন অন্য ওপেনার ফিন অ্যালেন। এর পরে দলকে বিপর্যয় থেকে উদ্ধারের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও গ্লেন ফিলিপস। দুজনে জুটি বেঁধে ৫৯ বলে তোলেন ৯১ রান। দলের ১১৯ রানের মাথায় বেন স্টোকসের বলে আদিল রশিদের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন কিউই অধিনায়ক। ৪০ বলে কেনের সংগ্রহ ৪০ রান। অধিনায়ক সাজঘরে পড়তেই বিপাকে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। একদিকে আগলে পড়ে রেখে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালান আগের ম্যাচের নায়ক গ্লেন ফিলিপস। কিন্তু যোগ্য সঙ্গী পাননি। অন্য প্রান্তে একের পর এক উইকেটের পতনের ফলে প্রতি ওভারে প্রয়োজনীয় রান বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ৬২ রান করে ফিলিপস ফিরতেই নিউজিল্যান্ডের জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়।
মরণ বাঁচন ম্যাচে ব্রিসবেনে এদিন টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। শুরু থেকেই কিউই বোলারদের নির্দয়ভাবে পেটাতে থাকেন দুই ইংলিশ ওপেনার। ৬২ বলে ৮১ রান সংগ্রহ করেন জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস। ৪০ বলে ৫২ রান করে সাজঘরে ফেরেন হেলস। মাত্র পাঁচ রানে আউট হয়ে যান মঈন আলি। লিয়াম লিভিংস্টোন ঝড় তুলতে চাইলেও ১৪ বলে ২০ রানের বেশি এগোতে পারেননি। হ্যারি ব্রুকের সংগ্রহ মাত্র সাত রান। একের পর এক ব্যাটসম্যান আউট হয়ে সাজঘরের পথ ধরলেও অন্যপ্রান্তে অটল থাকেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। ৪৭ বলে ৭৩ রান করে ইনিংসের শেষের দিকে আউট হয়ে যান বাটলার। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৯ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ডকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় ইংল্যান্ড।