আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ডাচদের নয় রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ করেছিল ১৪৫। সেই রান তাড়া করতে গিয়ে ১৩৫ রানে অলআউট হয়ে যায় ডাচরা। জয়ের কারিগর মূলত তাসকিন। মাত্র ২৫ রান দিয়ে সে তুলে নেয় চার-চারটি উইকেট।
১৪৫ রান তাড়া করতে গিয়ে নেদারল্যান্ডস কার্যত নাস্তানাবুদ হয়ে পড়ে। শুরুতেই প্রথম দুই বলে দুই উইকেট তুলে নেন। প্রথমে ওপেনার ভিক্রমজিতকে, পরে বাস ডি লিডিকে। দুইজনে ফেরেন শূন্য রানে। পরের দুই ব্যাটসম্যান রান-আউট হওয়ায় ডাচদের পিঠ কার্যত দেওয়ালে ঠেকে যায়। সেখান থেকে আর তাদের ম্যাচ বের করে আনা সম্ভব হয়নি। যদিও কলিন অ্যাকারম্যান কিছুটা হলে দলকে লডা়ইয়ে রাখার চেষ্টা করেন। ৪৮ বল খেলে রান তোলেন ৬২। দরকার ছিল তার মতো আরও একজনের। নেদারল্যান্ডসের রান একসময় ছিল চার উইকেটে ১৫। সেখান থেকে ১৩৫ রানে দলকে নিয়ে যাওয়ার নেপথ্য কারিগর অ্যাকারম্যান।
বোলিংয়ে যেমন দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ, ফিল্ডিংয়ে দেখা গেল সমান দাপট। স্বাভাবিকভাবে মানসিকচাপে পড়ে যায় ডাচরা। আর তার প্রভাব পড়ল ইনিংসে। টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিং করতে পাঠায় নেদারল্যান্ডস। তারা ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান তোলে। সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন আফিক হোসেন ধ্রুব। শেষ দিকে ১২ বলে অপরাজিত ২০ রান করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
এদিন অভিষেক ঘটল শারিজ আহমেদের। অভিষেক ম্যাচেই নজর কেড়ে নিলেন। বল করেছেন তিন ওভার। দিয়েছেন মাত্র ২৭ রান। সংগ্রহ করেছেন এক উইকেট।
আরও পড়ুন ছক্কা হাঁকালেন ব্যাটসম্যান, বল স্টেডিয়ামের ছাদ টপকে রাস্তায়