আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বকাপ ফুটবলের টিকিট কালোবাজারি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে গেলে তিনজন। সে দেশের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক থেকে টুইট করে এই গ্রেফতারের খবর দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, টিকিট কালোবাজারি করতে গিয়ে নিরাপত্তাকর্মীর হাতে ধরা পড়ে গিয়েছে তিনজন। যে কেউ তাঁর কেনা টিকিট বিক্রি করতেই পারেন। তবে তার জন্য রয়েছে সুনির্দিষ্ট কাউন্টার, যা ফিফার অনুমোদন প্রাপ্ত এবং স্বীকৃত।
কাতারের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক জানিয়েছে, এই তিন ২০২১-য়ের ১৯ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করেছে। সেই ধারায় বলা হয়েছে, টিকিট বিক্রি, বন্টন, টিকিট পরিবর্তন, ক্রয় করা টিকিট বিক্রি- একমাত্র তিনি বা সেই সংস্থাই করতে পারবে যাদের ফিফা অনুমতি দিয়েছে। ফিফা অনুমতি ব্যতিত কোনও সংস্থা বা ব্যক্তি কোনওভাবেই টিকিট অন্য কাউকে বিক্রি করতে পারবেন না। এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্টের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে দিতে হবে জরিমানা। জরিমানার সর্বোচ্চ পরিমাণ ২৫০,০০০ কাতারি টাকা। এই তিনকে আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক। তবে পুলিশ এই তিনজনের নাম প্রকাশ করেনি।
টিকিটের কালোবাজারি থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট, বিশ্বকাপ ফুটবলের টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে। অনেকেই অনলাইনে টিকিট কিনেছেন। একসময় সার্ভার ক্র্যাশ করে যায়।
তবে কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর বসায় একাধিক প্রাক্তনী তাঁদের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। প্রত্যেকের দাবি, কাতারের মতো একটি রক্ষণশীল দেশের হাতে বিশ্বকাপের দায়িত্ব দেওয়া ঠিক হয়নি।
আরও পডু়ন ফুটবলের ইতিহাসে কালো দিন: ইন্দোনেশিয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে FIFA সভাপতি