নিজস্ব প্রতিনিধি: ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ব্রিজ ভূষণ সিং-কে নিয়ে ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়ল সংসদের দুই কক্ষেই। বৃহস্পতিবার ছিল সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক। সেই বৈঠকে কেন ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিষয়টি আলোচনা রাখা হল না তার প্রতিবাদ জানিয়ে সভাকক্ষ ত্যাগ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাংসদ সুস্মিতা দেব ও অসিত কুমার মাল।
সাধারণত স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয় সেগুলি হল, শিক্ষা, নারীদের বিষয়, শিশুদের বিষয় এই বিষয়গুলির পাশাপাশি চলতি সভায় তৃণমূলের দুই সাংসদ দাবি জানান যে, দিল্লির যন্তর-মন্তরে কুস্তিগীররা যে বিষয় নিয়ে আন্দোলন করছেন, সেই বিষয়টিও রাখা হউক আলোচনার জন্য। কিন্তু তৃণমূল সাংসদদের এই দাবি মেনে নিতে অস্বীকার করেন যুব ও ক্রীড়া দফতরের প্রধান এবং বিজেপি সাংসদ বিবেক ঠাকুর। সূত্রের খবর, তারপরই স্ট্যান্ডিং কমিটির এই সভা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ সুস্মিতা দেব এবং লোকসভার সাংসদ অসিত মাল।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৯ মে সুস্মিতা দেবকে লেখা চিঠিতে বিবেক ঠাকুর লিখেছিলেন, কুস্তি ফেডারেশনের বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কুস্তিগীররা আনছেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সরকারের কাছে একটা বার্তা পাঠানো উচিত।
আরও জানতে পড়ুন: কুস্তিগীরদের সমর্থনে রাষ্ট্রপতির দরবারে কৃষক নেতারা
বৃহস্পতিবার এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পদক সুজাতা চর্তুবেদী, সাইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল সন্দীপ প্রধান এবং সিইও কমান্ডার পিকে গর্গ(অবসরপ্রাপ্ত) এবং অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা।
সূত্রের খবর, এই বৈঠকে তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব মনে করেন বর্তমানে কুস্তিগীররা তাঁদের আন্দোলনের ধারা যেভাবে বহন করে চলেছেন তাতে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া দফতরের এবং সাইয়ের কোনও নিয়ন্ত্রনের মধ্যে আর নেই। এবং তাই বিষয়টি স্ট্যান্ডিং কমিটির ওই বৈঠকে আলোচনার জন্য রাখাই যেত বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এই বৈঠকে উক্ত বিষয়ে আলোচনা করা যাবে বলে তাঁকে চিঠি দিয়েও জানানো হয়েছিল। এখন তা বাতিল করা হচ্ছে। কাজেই এরজন্যই তিনি সভা কক্ষ ত্যাগ করেছেন। সুস্মিতার একইভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে সভাকক্ষ ত্যাগ করেন লোকসভায় তৃণমূলের সাংসদ অসিত মাল।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের দুই সাংসদের দাবিকে সমর্থন জানান কংগ্রেস সাংসদ অখিলেশ প্রসাদ সিং। তিনি সভাকক্ষ ত্যাগ না করলেও যেহেতু তিনি সুস্মিতা এবং অসিত মালের দাবিকে সমর্থন করেছেন কাজেই তাঁকে সভাকক্ষে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলেই দাবি তাঁর।