নিজস্ব প্রতিনিধি: কর্মক্ষেত্রে যোগ দিলেও জাতীয় কুস্তি সংস্থার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন থেকে পিছু হটছে না আন্দোলনরত কুস্তিগীর সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়ারা। সোমবার বিজেপিপন্থী সংবাদ মাধ্যমের দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তাঁরা।
সোমবার দুপুরে বিজেপি পন্থী সংবাদ মাধ্যম হিসেবে পরিচিত ইন্ডিয়া টুডে, এনডি টিভি-সহ আরও বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয় সাক্ষী মালিক ওই আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়িয়ে রেলের চাকরি গ্রহণ করেছেন।
কিন্তু এই ঘটনার পরই সোমবার জাতীয় কুস্তিগীর সাক্ষি মালিক সংবাদ মাধ্যমের কাছে স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দেন যে, বজরং-ভিনেশদের সঙ্গে ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রথম থেকে সামিল ছিলেন এবং যতদিন না ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না হবে ততদিন অন্যদের সঙ্গে তিনিও আন্দোলনেই সামিল থাকবেন। সুতরাং এই আন্দোলন থেকে তাঁর সরে আসার কোনও সম্ভাবনাই নেই।
উল্লেখ্য, আন্দোলনরত কুস্তিগীরারা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেও এই বিষয়ে দরবার করেছিলেন। কিন্তু নীরব থেকেছেন অমিত শাহ। সুতরাং রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন, আসলে আন্দোলনরত কুস্তিগীরদের মধ্যে একটা বিভাজনের কৌশল অবলম্বন করার চেষ্টা করা হয়েছিল পদ্ম শিবিরের পক্ষ থেকে। কেননা ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের কোনও ব্যবস্থা নিতে গেলে যে কেন্দ্রের বর্তমান শাসকদল বিপদে পড়তে পারে। তাই বকলমে তাঁকে সমর্থন করে নীরবতার বার্তাই দিচ্ছে পদ্ম শিবির। আর সেই সুযোগে সংবাদমাধ্যমকে ব্যবহার করে ফায়াদা লোটার চেষ্টারও ত্রুটি রাখেননি পদ্ম শিবিরের হাইভোল্টেজ নেতারা।
অবশ্য এই বিষয়ে লাভের লাভ কিছুই হল না। উল্টে যে ধাক্কা পদ্ম শিবির খেল তাতে যে তারা অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে গেল, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।