নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: আচমকাই ভোলবদল আন্দোলনকারী কুস্তিবিদদের। রবিবার রাতে সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া ও বিনেশ ফোগতরা জানিয়েছেন, ‘জাতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে আর রাস্তায় আন্দোলন নয়। ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আদালতে লড়াই চলবে।’ আর ওই ঘোষণার পরেই জল্পনা শুরু হয়েছে, তবে কী কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে গোপন কোনও সমঝোতা হয়েছে আন্দোলনকারী কুস্তিবিদদের? ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন প্রত্যাহার করা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ার ভয়ে তড়িঘড়ি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সাময়িক বিশ্রাম নেওয়ার ঘোষণা করেছেন সাক্ষী মালিক ও বিনেশ ফোগত।
শনিবারই যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলে ফের রাস্তায় নামার হুমকি দিয়েছিলেন আন্দোলনকারী কুস্তিবিদরা। কিন্তু তার ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতেই কার্যত উল্টো সুর সাক্ষী মালিক-বিনেশ ফোগত-বজরং পুনিয়াদের কণ্ঠে। রবিবার টুইটে এক বিবৃতি পোস্ট করেছেন তিন কুস্তিগীর। ওই বিবৃতিতে বলেছেন, ‘গত ৭ জুন বৈঠকে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ১৫ জুনের মধ্যে জাতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতির বিরুদ্ধে ১৫ জুনের মধ্যে চার্জশিট দেওয়া হবে। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়েছে। তাই আর রাস্তায় নয়, ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আদালতে লড়াই হবে। তাছাড়া আগামী ১১ জুলাই জাতীয় কুস্তি সংস্থার নির্বাচন হওয়ার কথা। ওই নির্বাচনের পরেই সরকার বাকি প্রতিশ্রুতি রাখে কিনা, সে দিকে লক্ষ্য করা হবে।’
জাতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলে চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি দিল্লির যন্তরমন্তরে ধনা অবস্থান শুরু করেছিলেন সাক্ষী মালিক-বিনেশ ফোগতরা। তিন দিন অবস্থানের পরে অনুরাগ ঠাকুরের আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। পরে গত ২১ এপ্রিল থেকে ফের ধর্নায় বসেন। ৩৮ দিন বাদে ২৮ মে দিল্লি পুলিশ কার্যত যন্তরমন্তর থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তুলে দেন আন্দোলনকারীদের।