নিজস্ব প্রতিনিধি: ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ১০টি হাতি। আর তা দেখেই আটক করেন বন দফতরের কর্মীরা। জলপাইগুড়ি তিস্তা সেতুর কাছে ১০ টি ট্রাকে করে ১০টি হাতি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। হাতিগুলিকে অরুনাচল প্রদেশ থেকে গুজরাটের জাম নগরের রাধা মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
বন দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি তিস্তা সেতুর কাছে ১০ টি ট্রাক সহ ১০ টি হাতি আটক করা হয়। হাতিগুলিকে অরুনাচল প্রদেশ থেকে গুজরাটের জাম নগরের রাধা মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গাড়ি গুলি আটক করার পর হাতি বহন করে নিয়ে যাওয়ার জন্য বৈধ কাগজপত্র দেখান হাতি বহনকারী গাড়ির সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা। বন দফতরের কর্মীরা নথি খতিয়ে দেখেন। খবর দেওয়া হয় জলপাইগুড়ি বন বিভাগে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন জলপাইগুড়ি বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বনাধিকারিক বিকাশ ভি।হাতিগুলির শারীরিক পরীক্ষা করার জন্য তিনি খবর দেন গরুমারা জাতীয় উদ্যানে। এর পর গরুমারা জাতীয় উদ্যান থেকে থেকে প্রানী চিকিৎসক এসে হাতিগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। একইসঙ্গে হাতির কানে লাগানো মাইক্রোচিপও পরীক্ষা করে দেখেন বন কর্মীরা।
বন দফতরের আধিকারিক বিকাশ ভি জানান, ‘হাতিগুলি অরুনাচল প্রদেশ থেকে গুজরাটের জাম নগরের রাধা টেম্পলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এগুলি দান করা হয়েছে। হাতি গুলির যাত্রা পথের জন্য তাদের খাদ্য সামগ্রী, চিকিৎসক, মাহুত সহ যাবতীয় পরিকাঠামো নিয়েই যাচ্ছিল তারা। বৈধ কাগজপত্র ও মাইক্রো চিপ পরীক্ষা করা হয়েছে। কোনও অসঙ্গতি ধরা না পড়ায় পরে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার জন্য হাতির গাড়িগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।