নিজস্ব প্রতিনিধি: শরীর জুড়ে বয়সের ছাপ। চামড়া কুঁচকে গিয়েছে। ক্ষীণ হয়ে এসেছে দৃষ্টি। পথ চলতে সম্বল লাঠি। তবে মনে যেন ১৮ বছরের জোয়ার। নতুন ভোট (VOTE) দানের যে উদ্যম তা এই ১০৫ বছরেও রয়েছে বৃদ্ধের। শুধু বুথে গিয়ে ভোটই দিলেন না তিনি। ভোটাধিকার প্রয়োগ করার পর আপ্লুত হয়ে প্রকাশ করলেন উচ্ছাস।
১০৫ বছরের বৃদ্ধের নাম পিএইচ ছেত্রী। দার্জিলিং (DARJEELING) জেলার আরএন সিনহা রোডের বাসিন্দা তিনি। রাজনীতির উত্থান- পতন বা শান্ত বা অশান্ত পাহাড় সবই দেখেছেন তিনি। ১৯৯৫ সালের ১ জানুয়ারি তাঁর বয়স ছিল ৭৮। মানে এখন তাঁর বয়স ১০৫। এই বয়সেও মনের জোর, কথা বলার ক্ষমতা তাঁর বিস্তর। লাঠি নিয়ে চলাফেরাও করেন। কী করে এখনও সতেজ- তরতাজা? উত্তরে বৃদ্ধ জানিয়েছেন, নিয়মিত ব্যায়াম করেন তিনি। সেই সঙ্গে খান পরিমিত। এই বয়সেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য জিটিএ নির্বাচন আধিকারিক- কর্মীরা তাঁকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। এদিন ভোট কর্মীদের সাহায্য নিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন বৃদ্ধ। কারণ একটাই, তাঁর গুলিয়ে যায় ইভিএমের সিস্টেম। ব্যালট পেপার হলে অসুবিধা হত না।
উল্লেখ্য, রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রবিবার সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে দার্জিলিং জেলার দুটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পালা। পাহাড়ে হচ্ছে জিটিএ বা গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিন্সট্রেশনের (GTA) নির্বাচনের (ELECTION) জন্য ভোটগ্রহণ আর সমতলে চলছে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণের পালা। পাহাড়ে এদিন সকাল থেক্লেই আকাশ মেঘলা। মাঝে মাঝেই হচ্ছে বৃষ্টি। তাই খুব সকালে পাহাড়ের কোনও বুথেই ভিড় সেভাবে চোখে পড়ছে না। তবে সমতলের বুথগুলিতে স্বভাবিক ভাবেই ভোটগ্রহণ চলছে। পাহাড়ে ভোটগ্রহণ নিয়ে কোনও গন্ডগোলের কোনও ছবি পাওয়া যায়নি। খবর লেখা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়েছে নির্বিঘ্নেই।