নিজস্ব প্রতিনিধি: মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে অমরনাথে আটকে পড়েছেন এ রাজ্যের ১৬ জন। অমরনাথে নদীর স্রোতের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ বহু। অমরনাথে গিয়ে বড় বিপর্যয়ের জেরে আটকে পড়েছেন বঙ্গের ১৬ জন বাসিন্দা। এনডিআরএফ সূত্রে খবর, অমরনাথে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে এখনও পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন ৪০ জন।
আটকে পড়াদের মধ্যে রয়েছেন ধূপগুড়ির ৬ যুবক, কলকাতার ৮ জন এবং পুরুলিয়ার ২ জন। আটকে পড়েছেন বিপুল ঘোষ নামে কলকাতার লেকটাউন দক্ষিণদাঁড়ির এক বাসিন্দা। গত ৫ জুলাই রাতের জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেসে চেপে ওঠেন বিপুল। ৪৫ বছর বয়সী বিপুল পেশায় ব্যবসায়ী। বিপুলের সঙ্গে ছিলেন কেষ্টপুরের সাত জন এবং পুরুলিয়ার দুই জন। শুক্রবার রাতে বিপুল ঘোষ কলকাতায় লেকটাউনের বাড়িতে যোগাযোগ করে জানান, তারা আপাতত পহেলগাঁও বেস ক্যাম্পে রয়েছেন। নিরাপদে রয়েছেন বলেও জানান। বেসক্যাম্প থেকে কোনওভাবে ফেরার উপায় নেই বলে জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। তারা ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাহায্যের অপেক্ষায় রয়েছেন।
অন্যদিকে ধুপগুড়ির ৬ যুবক সোমবার ট্রেনে চেপে অমরনাথের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানে পুজো দেওয়ার জন্য তাঁরা যখন হাঁটা শুরু করেন, সেই সময় আচমকা মেঘ ভাঙা বৃষ্টি নামে। তার জেরে আটকে পড়েন ৬ জন। ইতিমধ্যে তাঁদেরকে ফিরিয়ে আনার জন্য জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন তৎপরতা শুরু করেছে। আটকে পড়া ধুপগুড়ির ৬ জনের নাম যথাক্রমে – অজয় ঘোষ, দেবব্রত সরকার, অপু পাল, অপু ভাওয়াল, শুভজিৎ পাল, বিধান সাহা। তাঁরা সকলেই পেশায় ব্যবসায়ী। অজয়ের মা জয়ন্তী ঘোষ বলেন, ‘৬ জন সোমবারে রওনা দিয়েছিল। আচমকা ওদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। টিভিতে ধসের খবর দেখে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। কিছুক্ষণ আগে ফোনে কথা হয়েছে ছেলের সঙ্গে। ছেলের অবস্থা খুব ভালো না। জ্বর এসেছে। আপাতত ক্যাম্পে রয়েছে’। অমরনাথে গিয়ে আটকে পড়া সকল ব্যক্তির পরিবারের এখন একটাই চাওয়া, ঘরে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক তাঁদের।