এই মুহূর্তে




আমজনতার জমি চুরি ঠেকাতে ২টি বড় পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের

Courtesy - Facebook and Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের নানা প্রান্তে প্রায়শই শোনা যায় একজনের মানুষের জমি অন্যজন জবরদখল করে নিয়েছেন বা তা মূল মালিকের অজান্তে অন্য কাউকে বিক্রি করে দিয়েছেন। সিংহভাগ ক্ষেত্রেই এই সব ঘটনা পৌঁছায় আদালতে। সেখানেই দিনের পদ দিন ধরে চলে মামলার শুনানি। প্রায় সব ক্ষেত্রেই এই সব মামলা বছরের পর বছর মায় দশকের পর দশক ধরে চলে। ফলে দেখা যায় জমিটির মূল মালিকের পরিবারই এক্ষেত্রে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এবার তাই জমি চুরি(Land Theft) ঠেকাতে রাজ্যের ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার দুটি বড় পদক্ষেপ করছে। এক, জমির খতিয়ানের(Land Record) সঙ্গে জমির মালিকদের নিজস্ব ফোন নম্বর সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং দুই, জমি কেনার পর জমির মালিকের নামে যে পরচা ইস্যু হবে সেখানে বাংলা ভাষা ব্যবহার করা হবে। এতে গ্রামের মানুষ সব থেকে বেশি উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন, একদিকে পুজোর অনুদান নিয়ে হাইকোর্টে মামলা, অন্যদিকে রাস্তায় সারাইয়ে নামছে পুরবোর্ড

মুখ্যমন্ত্রী সরকারি জমির জবরদখল ঠেকানো নিয়ে যেমন চিন্তিত, তেমনি আমজনতার জমি যাতে চুরি না যায় সেই দিকটি নিয়েও উদ্বিগ্ন। এই অবস্থায় তাঁর সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাজ্যের সাড়ে ৫ কোটি খতিয়ানের সঙ্গে জমির মালিকদের নিজস্ব ফোন নম্বর সংযুক্ত করা হবে। কাজটি সম্পূর্ণ হলে রাজ্যের কোনও ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমি অসাধু উপায়ে কেউ বিক্রি কিংবা অন্য কারও নামে ট্রান্সফার করতে পারবে না। এমন অন্যায় করতে গেলেই জমির আসল মালিকের মোবাইল ফোনে অ্যালার্ট মেসেজ চলে যাবে। ফলে হাতেনাতে ধরা পড়ে যাবে জমিচুরির চক্র। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে তথ্য-প্রযুক্তিগত প্রয়োজনীয় কাজ ইতিমধ্যেই অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। ফলে পুজোর পর পরই রাজ্য সরকারের তরফে এই কর্মসূচি চালু হয়ে যাবে। জমিচুরি চক্রের পান্ডারা অনেক ক্ষেত্রেই জাল দলিল তৈরি করে একজনের জমি অন্যের নামে ট্রান্সফার করে। জমির আসল মালিকের অজান্তেই ঘটে যায় এই অপকর্ম। নানা জায়গা থেকে বহুদিন ধরেই এমন অভিযোগ পেয়েছে রাজ্য সরকার। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এবার প্রত্যেকটি খতিয়ানের সঙ্গে জমির মালিকের ফোন নম্বর সংযুক্ত হবে। সেক্ষেত্রে এই বিপদ থেকে রাজ্যবাসীকে বাঁচানো আর কঠিন হবে না।

আরও পড়ুন, আদালতের নিষেধ অমান্য করে নির্যাতিতার ছবি-নাম ব্যবহার, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ

ঠিক হয়েছে, রাজ্যের এই নয়া কর্মসূচি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে জোরদার প্রচার চালানো হবে। জমির মালিকদের বলা হবে, তাঁরা যেন জমির খতিয়ানের সঙ্গে নিজ নিজ ফোন নম্বর সংযোগের আবেদন করেন। এক্ষেত্রে ভূমিসংস্কার দফতরে(Land and Land Reforms Department) ‘বাংলার ভূমি’ পোর্টালে(Banglar Bhumi Portal) ঢুকেই নিজের সচিত্র পরিচয়পত্র আপলোড করে আবেদন করা সম্ভব। এই পরিচয়পত্র ব্যবহার করেই ব্লক স্তরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে দিয়ে যাচাই প্রক্রিয়া চালানো হবে। দেখে নেওয়া হবে, সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীই জমিটির প্রকৃত মালিক কিনা। তার পরেই খতিয়ানের সঙ্গে তাঁর ফোন নম্বর যোগ করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সাল থেকে জমি রেজিস্ট্রেশনের সময় ক্রেতার ফোন নম্বর নেওয়া হয়। একই নম্বর ব্যবহার করা হয় মিউটেশনের ক্ষেত্রেও। ফলে গত ৫ বছরে কিছু জমির নথির সঙ্গে ফোন নম্বর যোগ হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাকি রয়ে গিয়েছে এই সংযুক্তিকরণ। তাই এই বিশেষ কর্মসূচির প্রয়োজন পড়ছে। কোনও ব্যক্তির নামে একাধিক খতিয়ান থাকলে তার প্রতিটিরই জন্য পৃথক আবেদন করা যাবে। রাজ্যে জমির খতিয়ান সংখ্যা এখন প্রায় সাড়ে ৫ কোটি। নবান্ন মনে করে, প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে মালিকের ফোন নম্বর যত দ্রুত যুক্ত হবে, জমি বেহাত হওয়ার বিপদ রুখে দেওয়া যাবে তত তাড়াতাড়ি।  

আরও পড়ুন, রাজ্যজুড়ে চালু হচ্ছে, ন্যায্য মূল্যের মাছের দোকান ‘সুফল বাংলা মৎস্য’

অন্যদিকে জমি কেনার পর নিজের নামে পরচা করানোই ক্রেতার প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য থাকে। কারণ, যার নামে পরচা, তাঁর নামেই সংশ্লিষ্ট জমি নথিভুক্ত থাকে রাজ্যের তথ্যভাণ্ডারে। পরচার আবেদন এখন করতে হয় অনলাইনে। অনেক ক্ষেত্রেই গ্রামবাংলার মানুষকে এই আবেদনের জন্য নির্ভর করতে হয় ‘এজেন্ট বা দালালদের’ ওপর। কারণ, অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হলে সমস্ত তথ্যই দিতে হয় ইংরেজিতে। আঞ্চলিক বা বাংলা ভাষায় এই সুবিধা না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় অনেককে। এবার এই সমস্যা দূর করতে চলেছে রাজ্য সরকার। অনলাইনে সরাসরি বাংলা ভাষায় যাতে তাঁরা আবেদন করতে পারেন, সেই সুবিধা আনার তৎপরতা শুরু হয়েছে। পরচার জন্য আবেদনকারী যাতে নিজের নাম, অভিভাবকের নাম, ঠিকানা সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবার সরাসরি বাংলা ভাষায় লিখতে পারেন, সেই ব্যবস্থাই করতে চলেছে রাজ্য। বাংলা ছাড়াও কয়েকটি আঞ্চলিক ভাষাতেও এই সুবিধা আনার ভাবনাচিন্তা করছে প্রশাসন। এখনকার যুগে মিউটেশন, জমির চরিত্র বদল, ওয়ারিশ অ্যাপ্লিকেশন সবই করা যায় ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের ‘বাংলার ভূমি’ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। অনলাইনে যে কোনও আবেদন জমা করার পর এসএমএস-এর মাধ্যমে তার প্রাপ্তিস্বীকার চলে আসে আবেদনকারীর মোবাইলে। তবে আসে ইংরেজিতে। আগামী দিনে এই এসএমএস বাংলায় পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

অভিষেক কন্যাকে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে গ্রেফতার মহিলা

পিটিয়ে খুন কুলটি সেল গ্রোথ কারখানায়, বিক্ষোভ স্থানীয়দের

লাভপুরে বিজেপি ছেড়ে ২০০ পরিবারের তৃণমূলে যোগ

রাজস্থানে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার

নিউটাউনে জনবহুল এলাকার ফুটপাত থেকে রক্তাক্ত যুবককে উদ্ধার করল পুলিশ

বহরমপুরে ভাগিরথী নদী থেকে নিখোঁজ নার্সের দেহ উদ্ধার, এলাকায় উত্তেজনা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর