নিজস্ব প্রতিনিধি: চিকিৎসা করাতে আজ থেকে ২২ বছর আগে বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিলেন। কিন্তু আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান। কিন্তু বাড়ির কথা মনে স্মৃতিতে থাকায় ঠিক ফিরে এলেন মায়ের কাছে। যখন বাড়ির লোকজন নিজের ছেলেকে ভুলতে বসেছিল ঠিক সেসময় হাজির ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের ফরাক্কা রেলবাজার এলাকার।
১৯৯৮ সালে অসুস্থ ছেলে প্রদীপ হালদারকে চিকিৎসা করাতে বহরমপুরে নিয়ে যান তাঁর মা ও মামা। প্রদীপ মানসিক রোগী। তাঁর চিকিৎসার জন্য ভালো ডাক্তারের প্রয়োজন ছিল তা ফরাক্কা এলাকায় ছিল না। তাই মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে ভালো চিকিৎসা করার জন্য নিয়ে গিয়েছিল পরিবারের লোক। তখনই বেখেয়ালে ছেলেকে হারিয়ে ফেলে মা। সেই হারিয়ে ফেলার পর আর হদিশ পাওয়া যায়নি প্রদীপের। দীর্ঘ খোঁজাখুজি, থানায় এফআইআর দায়ের করলেও পাওয়া যায়নি প্রদীপকে। হাল ছেড়ে দেয় পুলিশ, ভুলতে থাকে পরিবারের লোকজন। ঠিক ২২ বছর পর আচমকাই ঠিক পথ চিনে নিজের বাড়িতে গিয়ে হাজির হয় প্রদীপ।
নিজের ছেলেকে কাছে পায়ে আনন্দ আত্মহারে হয় বৃদ্ধ মা। তবে প্রদীপ নিজের মত করে ফিরে আসেনি। জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের এক স্বেচ্ছাসেবক সংস্থার উদ্যোগে প্রদীপকে ফেরানো হয়েছে। তাঁরা এইভাবেই রাস্তায় ঘুরতে থাকা মানসিক রোগীদের চিকিৎসা করে থাকার ব্যবস্থা করেন। সেক্ষেত্রে প্রদীপকে দিল্লির এক রাস্তায় পাওয়া যায়। তারপর চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়ায়, তাঁকে বাড়িতে ফেরানো হয়েছে। এই বিষয়ে সংস্থার তরফে নীতিশ শর্মা জানিয়েছেন, ‘প্রদীপবাবুকে যখন উদ্ধার করা হয়, তখন তিনি নাম, বাড়ির ঠিকানা কিছুই বলতে পারছিলেন না। তারপর তাঁকে চিকিৎসার জন্য আমাদের মুম্বইয়ের সংস্থাতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মাস খানেক চিকিৎসা চলার পর উনি নিজের নাম ও বাড়ির ঠিকানা ফরাক্কা রেলবাজার বলতে পারেন।’