নিজস্ব প্রতিনিধি: গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা Enforcement Directorate বা ED সাত সকালেই হানা দিয়েছিল বাংলার(Bengal) ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প এবং বস্ত্র দফতরের মন্ত্রী(Minister) চন্দ্রনাথ সিনহার(Chandranath Sinha) বাড়িতে। বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের নীচুপট্টি এলাকায় চন্দ্রনাথের যে নিজস্ব বাসভবন রয়েছে সেখানেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে হানা দেয় ED। সেই সময় ওই বাড়িতে ছিলেন না মন্ত্রী। তিনি ছিলেন জেলার মুরারুইয়ে তাঁর গ্রামের বাড়িতে। যদিও ED হানার খবর পেয়ে তিনি দুপুরের মধ্যেই সেখানে ফেরেন। সকাল ৯টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চন্দ্রের বাড়তে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি মন্ত্রী ও মন্ত্রীর স্ত্রী যিনি স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরও তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন ED আধিকারিকেরা। ED সূত্রের দাবি, তল্লাশি অভিযানে মন্ত্রীর বাড়ি থেকে নগদ প্রায় ৪১ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত(41 Lakh Rupees Seized) করেছেন তদন্তকারীরা। কী কারণে এই বিপুল টাকা মন্ত্রী তাঁর বাড়িতে রেখেছিলেন তাঁর কোনও সদুত্তর দিতে না পারায় এই টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ED সূত্রে জানা গিয়েছে। মন্ত্রীর মোবাইল ফোনটিও বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা।
তাঁর বাড়ি থেকে ৪১ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা এবং মোবাইল নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি। তবে তাঁর দাবি, তদন্তে তিনি সবধরনের সহযোগিতা করেছেন। ED সূত্রের দাবি, রাজ্যের স্কুলে স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় জড়িত মন্ত্রী চন্দ্রনাথ। বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি ও তহার জেলে বন্দী থাকা অনুব্রত মন্ডল থুড়ি কেষ্টর ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত চন্দ্রনাথ। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে সেই চন্দ্রনাথের নাম পাওয়া গিয়েছে। সেই সূত্রেই গতকাল তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল ED। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের অভিযোগ, চন্দ্রনাথ অন্তত ১০০ জন অযোগ্য প্রার্থীর নাম কুন্তলের কাছে পাঠিয়েছিলেন। এই প্রার্থীদের চাকরির বিনিময়ে মোটা টাকা নেওয়া হয়েছে। সেই টাকা কোথায় কী ভাবে বিনিয়োগ হয়েছে তা জানতেই তল্লাশি অভিযানে নামে ED। রাতে চন্দ্রের বাড়ি থেকে বার হওয়ার সময় ED আধিকারিকেরা জানান, তাঁদের কোনও প্রশ্নে জবাব দেননি মন্ত্রী। যদিও সেই অভিযোগ খারিজ করেছেন চন্দ্রনাথ। তাঁর দাবি, তিনি সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।