এই মুহূর্তে




সাগরদিঘি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৪,৪০০ কোটি টাকার নয়া বিনিয়োগ

Courtesy - Twitter




নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার (Bengal) সর্ববৃহৎ তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে মুর্শিদাবাদ(Murshidabad) জেলার সাগরদিঘি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি(Sagardighi Thermal Power Plant)। ইতিমধ্যেই সেখানে ৪টি ইউনিট থেকে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকার সেখানে একটি পঞ্চম ইউনিট গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেটি আবার Supercritical Thermal Power Unit। এই ৫টি ইউনিটের উৎপাদনের জন্য দূষণের কোনও সম্ভাবনা না থাকে তার জন্য রাজ্য সরকার L&T Energy-Power-কে দূষণ নিয়ন্ত্রণের পরিকাঠামো গড়ে তুলতে প্রায় ২,৫০০ কোটি টাকার বরাত দিতে চলেছে। সব মিলিয়ে সাগরদিঘিতে নতুন করে ৪,৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার।

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি মূল শহর থেকে উত্তরদিকে ১৩কিমি দূরে মণিগ্রাম এলাকায় ৯০০ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে সাগরদিঘী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম দুটি ইউনিট ৩০০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। সেই দুটি ইউনিটই গড়ে ওঠে বামজমানায় একটি চিনা সংস্থার হাত ধরে। প্রথম ইউনিটটি চালু হয় ২০০৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর। দ্বিতীয় ইউনিটটি সেই বছরেরই ৬ নভেম্বর চালু হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তৃতীয় ও চতুর্থ ইউনিট গড়ে তোলার দায়িত্ব পেয়েছিল দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা BHEL। ওই দুটি ইউনিট ৫০০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। ২০১৬ সাল থেকে দুটি ইউনিট বানিজ্যিক ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে চলেছে। এখন রাজ্য সরকার এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী পঞ্চম ইউনিটটি গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ৫টি ইউনিট একসঙ্গে চালু হয়ে গেলে এখান থেকে নিত্যদিন ২২৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।

এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে ভাবতে হচ্ছে এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে দূষণ রোধের বিষয়টিও। কেননা কোলাঘাট ও বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দূষণ নিয়ে রাজ্য সরকারের অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর নয়। সেই কথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার এখানে দূষণ নিয়ন্ত্রণের পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চাইছে। Flue Gas Desulphurization System’র মাধ্যমে এখানে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কয়লা পোড়ালে যে ধোঁয়া বার হয় তাতে প্রচুর পরিমাণে Sulfur Di Oxide বা SO2 থাকে। একই সঙ্গে প্রচুর ছাইও তৈরি হয়। Flue Gas Desulphurization System’র মাধ্যমে সেই গ্যাসকে চুন তৈরির ক্ষেত্রে এবং সিমেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। অনান্য গ্যাসকে আগুনে নষ্ট করে দেওয়া হবে। এই প্রকল্পের জন্য প্রাথমিক ভাবে ১,৭৫০ কোটি টাকা ধরা হলেও প্রকল্পের মোট ব্যয় ২,৫০০ কোটি টাকার আশেপাশেই থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শীতের ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু, কলকাতায় পারদ নামল ১৩ ডিগ্রির ঘরে

রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে এক ধাক্কায় স্বাভাবিক তাপমাত্রার ৪ ডিগ্রী ছন্দপতন ঘটবে

মৌলবাদীদের হাতে ধর্ষণের ভয়ে রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পেরিয়ে এপারে বাংলাদেশি নাবালিকা

বিধাননগরের ময়লা ফেলার জন্য পাথরঘাটায় নতুন ডাম্পিং স্টেশন হবে, ঘোষণা ফিরহাদের

নিউটাউন থানার আইসি’কে ৭ দিনের মধ্যে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

দিনদুপুরেই গেদে সীমান্ত পেরিয়ে গ্রামে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জমির ফসল লুট করছে বাংলাদেশিরা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর