নিজস্ব প্রতিনিধি: ছিঃ ছিঃ ছিঃ। ঘাটে যাওয়ার বয়সে কিনা বুড়ো যাচ্ছে জেলে। তাও আবার নাতনির বয়সী প্রতিবাশী পরিবারের নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করার দায়ে! ভাবা যায়। এ কোন অধঃপতনের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে আমাদের সমাজ! নাতনির বয়সী নাবালিকাকেও রেহাই দিচ্ছে না ৭৩ বছরের বুড়ো হাবড়া। এতই তার লালসা। এতই তার লোভ, কামনাবাসনা! শুনলে চমকে যাবেন, যে ৭৩ বছরের বুড়ো(73 Years Old Man) এই ঘটনা ঘটিয়েছে তার ছেলে কলকাতার এস এস কে এম হাসপাতালের নামকরা চিকিৎসক। আর বুধবার রাতে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana) জেলার বসিরহাট মহকুমার(Basirhat Sub Division) হাসনাবাদে(Hasnabad)।

আরও পড়ুন, শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ পঞ্চায়েত প্রধানের হোটেলে মধুচক্রে হানা পুলিশের, গ্রেফতার ৫

জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ঘটনার সময় বাড়িতে একাই ছিল। তার বাবা-মা সেই সময় কলকাতায় গিয়েছিলেন। পরিবারের দাবি, দশম শ্রেনীর ছাত্রী ওই নাবালিকার আগামী বছরই মাধ্যমিকে বসার কথা। প্রতিবেশী ওই বৃদ্ধ এর আগে একাধিকবার তাকে উত্ত্যক্ত করেছে। কিন্তু ভদ্রতার খাতিরে নির্যাতিতার পরিবার থেকে সেভাবে কোনওদিন কড়া পদক্ষেপ করা হয়নি ওই বয়স্ক লোকটির প্রতি। আর সেটাই সম্ভবত কাল হয়েছে। কিছু না বলে বলে বুড়োর লালসা আর সাহস দুইই বেড়ে গিয়েছে তলায় তলায়। শেষে ঘটনার দিন বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে ওই বুড়ো দুটি ঘরের ছাদ ডিঙিয়ে যে ঘরে নাবালিকা ছিল সেই ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে।

আরও পড়ুন, শহরের থানায় থানায় চর পাঠিয়ে Surprise Visit লালবাজারের, দেখা হচ্ছে কাজের হালচাল

জানা গিয়েছে, নিজের কুকীর্তি ঢাকতে নির্যাতিতাকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় ওই শয়তান। যদিও নাবালিকার বাবা-মা বাড়ি ফিরতেই তাঁদের সব ঘটনা জানায় নির্যাতিতা। তারপরেই হাসনাবাদ থানায় দায়ের করা হয় লিখিত অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ ওই বৃদ্ধকে গ্রেফতার(Arrested for Rape a Minor Girl) করে। তাকে এদিনই তোলা হয় বসিরহাট মহকুমা আদালতে। ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে আদালতে পাঠানো হয় অভিযুক্তকে। একই সঙ্গে ওই নাবালিকাকে গোপন জবানবন্দি নেওয়ার জন্য বসিরহাট আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ঘটনার জেরে অবশ্য অভিযুক্তের ছেলে অর্থাৎ এস এস কে এম হাসপাতালের ওই চিকিৎসক কোনও মন্তব্য করতে চাননি।