এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘৯২ জন প্যারা টিচারকে চাকরি দেওয়া হবে’, ঘোষণা মমতার

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: বন্যেরা সুন্দর জঙ্গলে, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে। আর তাই শিশুর কাছে মাতৃভাষা হল মাতৃদুগ্ধের সমান। রাজ্যের শিক্ষাবিদরাও বার বার আর্জি জানিয়েছেন, বাংলার ছেলেমেয়েদের বাংলা ভাষাতেই শিক্ষা দেওয়া হোক আর সেটা ইংরেজিকে বাদ না রেখেই। কিন্তু বামফ্রন্ট সরকার ইংরেজিকে তুলে দিয়ে, পাশ-ফেল প্রথা তুলে দিয়ে বাংলা ভাষায় স্কুল শিক্ষার রেওয়াজ চালিয়ে গিয়েছেন ৩৪ বছর ধরে। তার জেরেই বাংলার ছেলেমেয়েরা পিছিয়ে গিয়েছিল সর্বভারতীয় স্তরের চাকরি ও উচ্চশিক্ষার দৌড়ে। সেই ছবি ধীরে ধীরে বদলানোর প্রক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) শুরু করেন ২০১১ সাল থেকেই। জঙ্গলমহলের আদিবাসী জনতার দীর্ঘদিনের দাবি ছিল অলচিকি মাধ্যমে(Alchiki Medium) সাঁওতালি মাধ্যমের স্কুলে স্কুলে পড়ানো হোক। সেই দাবিকে কর্ণপাত করেনি বামেরা। মমতা কর্ণপাত করেছেন। তাঁর আমলেই অলচিকি মাধ্যমে রাজ্যের সাঁওতালি মাধ্যমের স্কুলে(Santhali School) স্কুলে পড়ানো শুরু হয়েছে। এদিন অর্থাৎ ২৯ ফেব্রুয়ারি তিনি ঝাড়গ্রামের(Jhargram) মাটিতে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দিলেন জেলার সাঁওতালি মাধ্যমের স্কুলগুলিতে যাতে অলচিকি ভাষায় পড়াতে কোনও বাধা না আসে তার জন্য ৯২ জন শিক্ষক নিয়োগ(Para Teacher Recruitment) করা হচ্ছে। করতালি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে স্বাগত জানান আদিবাসী জনতা।

৩ দিনের জঙ্গলমহল সফরে বার হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে পুরুলিয়া আর তারপর সভা করেছেন বাঁকুড়া জেলাতে। এদিন তাঁর সভা ছিল ঝাড়গ্রামে। সেই সভা থেকেই তিনি জানান, ‘২০১১ সালের সাঁওতালি স্কুলে শিক্ষকের অভাব ছিল। তাই অলচিকি ভাষায় পড়ানোর সমস্যাও ছিল। আমরা সেই সমস্যা ধীরে ধীরে কাটিয়ে তুলছি। অলচিকি লিপি ও মাধ্যমে পড়ানোর স্কুলের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামে। রাজ্যের অনান্য জেলাতেও এই সুবিধা চালু করা হচ্ছে। ঝাড়গ্রামের অলচিকি মাধ্যমের স্কুলে পড়াতে যাতে কোনও অসুবিধা নয় তার জন্য আমরা ৯২ জন শিক্ষক নিয়োগ করছি যারা অলচিকি স্কুলে পড়াতে পারবেন। তাঁরা সম্মানটা পাবেন। ৯২ জন প্যারা টিচারকে চাকরি দেওয়া হবে।’ এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের জন্য ২৪১টি আশ্রম হস্টেল, ৩০ টি সেন্ট্রাল হস্টেল তৈরি করেছি। আগে হস্টেলের খাবার খরচ ১ হাজার টাকা দেওয়া হত, এখন ১৮০০ টাকা করা হল। SC ST পড়ুয়াদের জন্য স্মার্ট কার্ড রয়েছে। সেখান থেকে তাঁরা লোন পান। শিক্ষাশ্রী প্রকল্পে স্কলারশিপ পান। জেলায় জেলায় আমরা ৫০টি কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে ZEE পরীক্ষায় কোচিং দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।’

ঘটনাচক্র গতকাল বাঁকুড়া জেলার খাতড়া থেকে সভা করে ঝাড়গ্রামে আসার পথে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় থামিয়ে ছিলেন ঝাড়গ্রাম একলব্য আদর্শ আবাসিক বিদ্যালয়ের অতিথি শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে আর্জি জানান। তাঁদের দাবি ছিল, ‘দিদি, ১১,৮৯০ টাকায় চালানো যাচ্ছে না।’ একলব্য স্কুলে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত আদিবাসী পড়ুয়ারা নিখরচায় পড়তে পারে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে নজরকাড়া ফলও হচ্ছে ঝাড়গ্রামের এই স্কুল থেকে। ইংরেজি মাধ্যম সরকারি আবাসিক স্কুলটিতে বর্তমান ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ৪৫৭ জন। ৩৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ২০ জন অতিথি শিক্ষক। বাকিরা চুক্তিভিত্তিক। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের খাতাও অতিথি শিক্ষকদের দেখতে হয়। তাঁদের চুক্তিভিত্তিক করার আবেদন করেন অতিথি শিক্ষক-শিক্ষিকারা। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকাকে দেখে নিতে বলেন। তবে এদিন একলব্য স্কুলগুলিকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়গ্রামের সভা থেকে আলাদা করে কোনও বার্তা দেননি।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

হাওড়ার বাঁকড়ায় পঞ্চায়েত অফিসে চলল গুলি, নামল র‍্যাফ

রেজাল্ট ভালো হবে না এই আশঙ্কা করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর

কংগ্রেসের দুর্গ রক্ষা নাকি জোড়াফুলের জয়, তাকিয়ে দক্ষিণ মালদার জনতা

আচমকা বাড়ির ছাদ ভেঙে মাটিতে ঢুকে গেল ধাতব গোলক, তদন্তে পুলিশ

‘যত ভোট তত গাছ’, মনোনয়ন দিয়ে ঘাটালবাসীদের প্রতিশ্রুতি দেবের

২০২৫ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা কবে ? জানিয়ে দিল পর্ষদ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর