নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য নির্বাচন কমিশনের(West Bengal State Election Commission) কমিশনার পদে রাজ্য সরকার ও রাজ্যপাল একমত হয়েই রাজীব সিনহাকে(Rajib Sinha) নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে রাজভবনের তরফে দাবি করা হয়, রাজ্যপাল রাজীবের যোগদান পত্র ফিরিয়ে দিয়েছেন। সেই সময়ে তাই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল রাজীব কী আদৌ আর নির্বাচন কমিশনার পদে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন? সেই প্রশ্নের মুখে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) জানিয়ে দেন, এভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে সরানো যায় না। তার জন্য বিচারপতিদের মতো Impeachment করতে হয় যা বেশ জটিল প্রক্রিয়া। রাজ্যপাল অবশ্য সেই ইস্যুতে এখনও প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। তবে এবার দেখা গেল কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) রাজীবের নিয়োগ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল। কার্যত রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে রাজীবের নিয়োগের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করেই এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে বিজেপি প্রার্থী, শোরগোল ডায়মন্ডহারবারে
জানা গিয়েছে, রাজীবের নিয়োগ বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই মামলাটি এদিন অর্থাৎ সোম সকালে দায়ের করেছেন আইনজীবী নবেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী শুক্রবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গতকাল অর্থাৎ রবি সন্ধ্যায় রাজভবনে রাজীব গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের(C V Anand Bose) সঙ্গে দেখা করতে। দুইজনের মধ্যে প্রায় ২ ঘন্টা ধরে বৈঠক হয়। রাজীবের নিয়োগ যদি বৈধতাহীন হতো তাহলে কী রাজ্যপাল ও রাজীবের এই বৈঠক হতো? তাই নানান মহলে কলকাতা হাইকোর্টের মামলার যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীবের নাম প্রথম প্রস্তাব করেছিল নবান্ন। তবে সেই প্রস্তাবে প্রথমে সিলমোহর দেয়নি রাজভবন। আরও দু’টি নাম পাঠায় রাজ্য। পরে অবশ্য রাজীবকেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগে সম্মতি দেন রাজ্যপাল। গত ৭ জুন রাজীবকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল।