-273ºc,
Friday, 2nd June, 2023 8:04 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি: রাতেই এসেছিল ফোন। বাড়ির ছেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে কলেজের হোস্টেলে। সেই ফোন পেয়ে তড়িঘড়ি করে রাতেই বাড়ির লোকেরা পৌঁছান সেই হোস্টেলে। গিয়ে দেখেন হোস্টেলের নির্দিষ্ট ঘরে ঝুলছে ছেলের দেহ। তা দেখেই ভেঙে পড়েন সবাই। তার মধ্যেই দেহ নামিয়ে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকেরা জানান, অনেক আগেই মৃত্যু(Death) হয়েছে ওই যুবকের। ২১ বছরের তরতাজা যুবক এভাবে মারা যাবে সেটা এখনও মেনেই নিতে পারছে না তাঁর পরিবার। আর তাই উঠে আসছে খুনের তত্ত্ব। সেই মর্মে পুলিশের কাছেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে পুরুলিয়ার(Purulia) জয়পুরে(Joypur) একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হোস্টেলে এই ঘটনা ঘটে। মৃত যুবক ওই কলেজের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া(College Student)। তাঁর নাম সাগর সাহু। বাড়ি ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি থানার খামার গ্রামে।
জানা গিয়েছে, সাগরের বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাতে ফোন এসেছিল। সেই ফোন আবার এসেছিল সাগরের মোবাইল থেকেই। এই বিষয়ে সাগরের দাদা সুরজিৎ সাহু শুক্রবার জানিয়েছেন, ‘রাত ১১টা নাগাদ ভাইয়ের মোবাইল থেকেই ফোন এসেছিল। কেউ একজন ফোন করে শুধু আমাকে বলেছিল ভাই নাকি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। কে সেই ফোন করেছিল তা এখনও আমরা জানি না। আমরা রাতেই হোস্টেলে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি ওর ঘরে ও ঝুলছে। দড়ি ছিল মেঝে থেকে মাত্র দু’-তিন ফুট ওপরে। আত্মহত্যা করলে দড়ি মেঝে থেকে এত কম ওপরে থাকবে? তাছাড়া আমার ভাইয়ের মোবাইলে লক ছিল। সেই লক খুলে কেই বা ফোন করল আমাদের? তাছাড়া ঘর খুব অগোছালো ছিল। আমার ভাই কিন্তু ঘর খুব গুছিয়ে রাখত। এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি যাতে ও আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ভাইয়ের বন্ধুদের কথাতেও অসঙ্গতি রয়েছে। তাঁরা এক এক জন এক রকম কথা বলছে। আমার অনুমান, ভাইকে কেউ বা কারা খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে।’ ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ হোস্টেলের ঘরটি সিল করে দেওয়ার পাশাপাশি সাগরের বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।