এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কৃষিক্ষেত্রের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে নয়া ঋণ যোজনা বাংলায়

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) বুকে সাড়ে ৩ দশকের বাম অপশাসনের অবসান ঘটিয়ে ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসীন হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেই সময় থেকেই তিনি বিশেষ ভাবে নজর দিয়েছেন বাংলার কৃষকদের(Farmers) উন্নয়ন সাধনে। কৃষকদের মঙ্গলার্থে মুখ্যমন্ত্রী যেমন ‘কৃষকবন্ধু’(Krishak Bondhu) প্রকল্প চালু করেছেন তেমনি চালু করেছেন ‘কিষাণ ক্রেডিট কার্ড’ও। সেই সঙ্গে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার ব্যবস্থা চালু করার পাশাপাশি তাঁদের পণ্যের বিক্রির ব্যবস্থা করতে জায়গায় জায়গায় ‘কিষাণ মাণ্ডি’ও নির্মাণ করেছেন। এবার তিনি আরও এক ধাপ এগিয়ে চালু করতে চলেছেন কৃষিক্ষেত্রের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ঋণ ব্যবস্থা। এই নয়া প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার কৃষকেরা ব্যাঙ্ক থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ(Agriculture Infrastructure Development Loan Scheme) নিতে পারবেন। আর সেই ঋণের জন্য মাত্র ১ শতাংশ সুদ দিতে হবে তাঁদের। তার থেকেও বড় কথা এই ঋণ নেওয়ার জন্য কোনও কো-ল্যাটারাল সিকিউরিটি বা ক্রেডিট গ্যারেন্টি লাগবে না।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের গ্রামীন এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের আর্থসামাজিক দিক থেকে চাঙ্গা করে তুলতে মুখ্যমন্ত্রী কৃষিক্ষেত্রের পরিকাঠামোগত উন্নতিসাধন চান। সেই লক্ষ্যেই তিনি চান গ্রামের বেকার যুবকেরা বা কৃষকেরা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে এই পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে তা থেকে অর্জিত অর্থে স্বনির্ভর হয়ে উঠুক। কৃষিক্ষেত্রের এই পরিকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে গুদামঘর, পণ্য পরীক্ষা কেন্দ্র, প্যাক হাউস, কাস্টম হায়ারিং সেন্টার, রাইস মিল সহ মোট ২৫টি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সাহায্য ও ভর্তুকি এই প্রকল্পে যুক্ত করা যাবে। বেকার যুবক ও কৃষকেরা ছাড়াও এই ঋণের সুযোগ নিতে পারবেন নবীন উদ্যোগপতি, কৃষি উদ্যোগপতি, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, কৃষি উৎপাদক সংস্থা, সমবায় সংস্থাগুলি। তাঁরা এই ঋণ নিয়ে গুদামঘর, পণ্য পরীক্ষা সংস্থা, প্যাক হাউস, হিমঘর, বাছাই ও গ্রেডিং কেন্দ্র, পরিপক্ক কক্ষ, কৃষি যন্ত্রপাতি ভাড়া কেন্দ্র বা কাস্টম হায়ারিং সেন্টার, সুরক্ষিত চাষের কাঠামো, রাইস মিল, ডাল মিল, তেলকল, সর্টিং আর গ্রেডিং ইউনিট গড়ে তুলতে পারবেন।

এই প্রকল্পে আবেদনের জন্য matirkatha.net/aif পোর্টালে গিয়ে আবেদনকারীর নিজের নাম এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি সহ লগ ইন করতে হবে। আবেদনকারীর প্রত্যেক স্তরের আপডেট পোর্টালেই দেখতে পাওয়া যাবে। অনলাইনে আবেদন করার পদ্ধতি বুঝতে অসুবিধা হলে নিকটবর্তী বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে গিয়েও এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করা যাবে। প্রকল্প সম্পর্কে আরও বিশদে জানতে যোগাযোগ করতে হবে ব্লক, মহকুমা, জেলা বা রাজ্য কৃষি দফতরে। এই ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের নির্ধারিত সুদের ওপর যেমন ৩% অনুদান মিলবে তেমনি সমবায় সমিতিগুলি সুদের ওপর অতিরিক্ত ৩% অনুদান পেতে পারে, ফলে ঋণের ওপর কার্যকরী সুদ মাত্র ১% দিতে হবে৷  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বৃষ্টির জেরে  বীরভূমে বাতিল  জনসভা, ভার্চুয়ালি প্রচার অভিষেকের

শরীরে তুলনায় মাথা অনেকটাই বড়, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় তাক লাগিয়ে দিল বালুরঘাটের  পায়েল

‘মামলা তুললেই Murder হয়ে যাবি’, ভয়ে সিঁটিয়ে সন্দেশখালি

কংগ্রেসের অভিযোগে অপসারিত বহরমপুরের আইসি, দিলীপ প্যান্ট খোলার দিচ্ছেন হুমকি

বিজেপি প্রার্থীর হয়ে কাজ করবে না, বীরভূমে পোস্টার নিয়ে বিপাকে পদ্ম শিবির

পরাজয়ের গন্ধ পেয়েই কী আসানসোলমুখী হচ্ছেন না মোদি, উঠছে প্রশ্ন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর