এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

পুলিশের একাংশের মদতেই ঘটেছে ক্যানিংয়ের হত্যাকাণ্ড, অপসারিত আধিকারিক

নিজস্ব প্রতিনিধি: গড়ে উঠেছিল তোলাবাজির সাম্রাজ্য। আর তাতে মদত ছিল খোদ উর্দিধারীদের। কারণ তোলার ‘ভাগ’ পৌঁছে যেত উর্দিধারীদের পকেটেও। আর সেই তোলাবাজির সব থেকে বড় কাঁটা হয়ে উঠেছিল স্বপন মাজি(Swapan Maji)। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া না হলে যে তোলাবাজির সাম্রাজ্য ধসে পড়বে। অগ্যতা উর্দিধারীদের একাংশের মদতেই খুনের নীল নকশার অবতারণা। আর সেই নকশা অনুযায়ী মসৃণ অপারেশন। ‘খাল্লাস’ স্বপন মাজি। ঘটনার সাক্ষী ঝন্টু হালদার ও ভূতনাথ প্রামাণিকও ‘খতম’। তবুও শেষরক্ষা হল না। সিট গঠনের পরে পরেই গ্রেফতার অন্যতম অভিযুক্তের দাদা। আর তাকে জেরা করতেই সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য। তার জেরে অপসারিত হলেন পুলিশ আধিকারিক। আতস কাঁচের তলায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) জেলার ক্যানিং(Canning) থানার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাজি, বুথ সভাপতি ঝন্টু হালদার ও অপর এক বুথ সভাপতি ভূতনাথ প্রামাণিকের খুনের(Murder) ঘটনা।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ক্যানিংয়ের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাজ্য সরকার ৬ সদস্যের স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট গঠন করেছে। তাতে আছেন, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু, ক্যানিংয়ের এসডিপিও দিবাকর দাস, ক্যানিং থানার আইসি সৌগত ঘোষ, বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের ওসি লক্ষ্মীকান্ত বিশ্বাস ও আরও ২ সদস্য। আর তারপরে পরেই রাতেই গ্রেফতার হয় আফতাবউদ্দিন শেখ। ৩ খুনের ঘটনায় ক্যানিং থানায় যে এফআইআর দায়ের হয় তাতে নাম রয়েছে বশিরউদ্দিন শেখের। এই বশিরের দাদাই হচ্ছে আফতাব। ঘটনার দিন স্বপনবাবুর গতিবিধি সংক্রান্ত খবর খুনিদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল সে। স্বপনবাবু কখন বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন, কোথায় যাচ্ছেন, কাদের সঙ্গে যাচ্ছেন সে সম্পর্কে খোঁজ রাখতে বলা হয়েছিল আফট্যাবকে। এর জন্য তাকে মোটা টাকা দেওয়ার লোভও দেখানো হয়। অপারেশনের সময় মোটরবাইক নিয়ে ৩ তৃণমূল নেতাকে অনুসরণ করার পাশাপাশি, আততায়ীদের কাছে তথ্য পৌঁছে দিচ্ছিল আফতাব। গুলি চলার পরেই সে এলাকা ছাড়ে।

কিন্তু তাকে জেরা জেরা করে সিট আরও ভয়ঙ্কর তথ্য পেয়েছে। ক্যানিংয়ের এই হত্যাকাণ্ডের মূল চক্রী এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী রফিকুল সর্দার(Rafikul Sardar)। তার বাড়ি এলাকারই ধর্মতলা এলাকায়। সেই এলাকাতে তো বটেই আশেপাশের জেলেপাড়া, হেড়োভাঙা এলাকায় কার্যত ‘তোলাবাজি’র সাম্রাজ্য স্থাপন করেছিল সে। আর তাতে ছিল স্থানীয় পুলিশের প্রত্যক্ষ মদত। কেননা সেই তোলাবাজির ভাগ পেতেন স্থানীয় ধর্মতলা পুলিস ক্যাম্পের আধিকারিক সহ আরও বেশ কিছু পুলিশকর্মী। এই ক্যাম্প অফিসই কার্যত হয়ে উঠেছিল রফিকুলের ঘাঁটি। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে সিট জানতে পেরেছে প্রতি সন্ধ্যায় ক্যাম্পের আধিকারিক ও অন্যান্যদের সঙ্গে সদলবলে আড্ডা বসাত রফিকুল। সেই ‘ঘনিষ্ঠতা’র বিনিময়ে জুটত পুলিশের প্রত্যক্ষ ‘মদত’। আর এই তথ্য সামনে আসার পরে পরেই গতকাল রাতে ওই ক্যাম্পের পুলিস আধিকারিককে ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে। বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু জানিয়েছেন, ধর্মতলা পুলিশ ক্যাম্পের আধিকারিককে দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে। গোটা বিষয়টির তদন্ত চলছে। জেরায় আফতাব জানিয়েছে, স্বপন মাজি রফিকুলের তোলাবাজির বিরুদ্ধে সার্বিক ভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া ছাড়া কোনও গতি ছিল না। 

আফতাব জানিয়েছে, ঘটনার কয়েকদিন আগেই রফিকুল এই হামলার ঘটনার ছক কষে যা জানতেন ধর্মতলা ক্যাম্পের ওই পুলিশ আধিকারিক। আর ঘটনা ঘটার ১০ মিনিটের মধ্যেই সেখানে হাজিরও হয়ে যান ওই পুলিশ আধিকারিক। কোনও ঘটনা ঘটলে এত দ্রুত পুলিশের দেখা মেলে না বাংলার কোথাও। সেখানে ওই পুলিশ ক্যাম্পের আধিকারিক কীভাবে অত দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে এলেন? তাহলে কী তিনি অপেক্ষা করছিলেন ‘অপারেশন’ কত দ্রুত শেষ হয় তা জানার জন্য? প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। আর এই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে পুলিশকেও। এলাকাবাসীরা আরও জানিয়েছেন, পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় থেকেই ইটভাটা থেকে অটোস্ট্যান্ড সর্বত্র তোলাবাজি চালাত রফিকুল ও তার সঙ্গীরা। স্থানীয় গৃহবধূ থেকে যুবতী-কিশোরীরা তাদের ইভটিজিং থেকে শ্লীলতাহানির শিকারও হয়েছে। অথচ ভয়ে কেউ একটা টুঁ শব্দও করতে পারেনি। থানায় দায়ের হয়নি কোনও অভিযোগ। আফতাবকে গতকার রাতে কুলতলি থেকে গ্রেফতার করা হলেও আদতে সে ক্যানিংয়েরই বাসিন্দা। পুলিশের ধারনা ঘটনার মূল অভিযুক্ত রফিকুল সহ বাকিরা বাংলাতেই কোথাও গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কোন্নগরে বৃদ্ধার মৃতদেহ আগলে বসে স্ত্রী-মেয়ে, এলাকায় ছড়াল দুর্গন্ধ

তিন দিন ধরে আত্মজার মৃতদেহ আগলে, অবশেষে বুধবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন গর্ভধারিনী

তৃণমূল-কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ, চলল গুলি ! ভোটের আগেই উত্তপ্ত খড়গ্রাম   

রায়গঞ্জে ভোঁতা হল ভিক্টর অস্ত্র, সংখ্যালঘুরা জোড়াফুলেই

‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’, অধীরকে তোপ অভিষেকের

‘ইন্ডিয়া’র বড় গদ্দার উনি, সকালে বিজেপির পা ধরেন, বিকেলে সিপিএমের পা ধরেন’, আক্রমণ মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর