নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাজুড়ে জনসংযোগ কর্মসূচিতে নেমেছেন তৃণমূলের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। এই জনসংযোগ যাত্রার নাম দেওয়া হয়েছে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’। সেই কর্মসূচি নিয়ে এখন পূর্ব বর্ধমান(Purba Burdhwan) জেলায় রয়েছেন অভিষেক। রবিবার সকাল থেকেই তিনি সেই জেলার রায়নায়(Raina) চলে যান গ্রামে গ্রামে জনসংযোগ সারতে। আর সেখানেই তাঁকে কাছে পেয়ে এক বৃদ্ধ নিজের সমস্যার কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেললেন। মিডিয়ার দৌলতে তা চাক্ষুষ করলেন বাংলার মানুষ। তবে শুধু এই বৃদ্ধই নয়, ওই গ্রামের অনেক বাসিন্দাই এদিন অভিষেককে কাছে পেয়ে তাঁদের নানান সমস্যার কথা তুলে ধরেন। সবার সব অভিযোগই মন দিয়ে শোনেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক। তবে সব থেকে বেশি চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এক RSS কর্মী রাস্তায় অভিষেকের গাড়ি দাঁড় করিয়ে তাঁর কাছ থেকে ল্যাম্পপোস্ট চাওয়ার ঘটনায়।
আরও পড়ুন বিগত অর্থবর্ষে বাংলা থেকে ১৩০০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি
রবি দুপুরে অভিষেক পা রাখেন পূর্ব বর্ধমান জেলার দক্ষিণ সদর মহকুমার রায়না ব্লকের বড়বৈনান গ্রাম পঞ্চায়েতের মণ্ডলপাড়া এলাকায়। মুহুর্তের মধ্যে গোটা গ্রামে হইহই পড়ে যায়। কেননা অভিষেক যে এই গ্রামে আসবেন সেটা কেউই জানত না। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁকে হাতের কাছে পেয়ে সকলেই নিজেদের অভাব ও অভিযোগের কথা জানাতে শুরু করেন। কারও অভিযোগ ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেন না। কেউ বা অভিযোগ করেন বাড়ি পাচ্ছেন না। কেউ বা বলেন তাঁর চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে। সেই সময় দেখা যায় এক বৃদ্ধ ছুটে এসে কান্নায় ভেঙে পড়ে তাঁকে জানান যে তিনি বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন না। তা দেখে বৃদ্ধের হাত ধরে অভিষেক আশ্বাস দেন, যত দ্রুত সম্ভব তিনি সমস্যার সমাধান করবেন। অনেকে আবার এলাকায় পানীয় জলের সমস্যার কথা তাঁর কাছে তুলে ধরেন। অভিষেক সকলের কথা মন দিয়ে শোনেন। সঙ্গে আশ্বাস দেন, সমস্ত সমস্যা নিয়েই সংশ্লিষ্ট মহলে তিনি জানাবেন। তাতে খানিকটা আশ্বস্ত হন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন পঞ্চরথীর ৬৯টি সভা, ৪১টি রোডশো, সব গেল জলে
বড়বৈনান মণ্ডলপাড়ার পাশাপাশি আরও দু, একটি গ্রাম ঘোরেন অভিষেক। গ্রামবাসীদের সকলের কাছেই জানতে চান, সরকারি পরিষেবা কী কী পাচ্ছেন, কীসের অভাব রয়েছে। সেসব নোটও করে রাখেন। আর সেই সময়েই এক RSS কর্মী রাস্তায় তাঁর গাড়ি দাঁড় করিয়ে জানান, রাস্তায় রাতের বেলা এতটাই অন্ধকার থাকে যে হাঁটাই দায়। মেয়েরা রাতে ওই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতেই পারে না। অভিষেক জানান, তিনি এই সমস্যারও সমাধান করে দেবেন। কিন্তু রাজনৈতিক মহলে এক সঙ্ঘ কর্মী অভিষেকের কাছে এসে সমস্যার কথা জানায় তা গেরুয়া শিবিরের কাছে বড় ধাক্কা হয়ে থেকে গেল।