নিজস্ব প্রতিনিধি: পুরুষবন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহুর্তের ছবি চলে এসেছিল ফেসবুকে। তারপর তা ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগেনি। সেই ঘটনার জেরেই এবার আত্মঘাতী হল অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রী। যদিও ওই ছাত্রীর পরিবারের দাবি, যা ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে তা জোর করে তোলা হয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের শালবাড়ি এলাকায়। ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবী করে ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও অভিযুক্ত পলাতক বলেই জানা যাচ্ছে।
শালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ধীরেন্দ্রনাথ রায়ের একমাত্র মেয়ে কৃষ্ণা রায় জল্পেশ লক্ষীকান্ত উচ্চতর বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। ধীরেন্দ্রনাথবাবুর দাবি, কৃষ্ণাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো মধ্য শালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা চিন্ময় সরকার নামে এক যুবক। সম্প্রতি সে কৃষ্ণার সঙ্গে বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ মুহুর্তে ফটো তুলেছিল। পরে সেই সব ফটো ফেসবুকে ছেড়ে দেয় চিন্ময়। সেই ছবিই ভাইরাল হতে তীব্র অস্বস্তির মুখে পড়ে কৃষ্ণা। এরপর লজ্জায় বাড়ির লোককে কী করে মুখ দেখাবে এই ভেবে শুক্রবার রাতে নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সে। কৃষ্ণার ঘরে দরজা দীর্ঘক্ষণ বন্ধ দেখে ও অনেকবার ডেকেও ভেতর থেকে কোনও সাড়া শব্দ না পেয়ে বাড়ির লোকেরা জানালা ভাঙলে কৃষ্ণার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়। এরপর ময়নাগুড়ি থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কৃষ্ণাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।