নিজস্ব প্রতিনিধি: যারা অপরাধ নিয়ে চর্চা করেন তাঁরা বিলক্ষণ জানেন, অপরাধী কোথাও না কোথাও তার অপরাধের সূত্র রেখা যায়। সেই সূত্র ধরেই তার সন্ধান মেলে। এবার এই ঘটনাই দেখতে পাওয়া গেল বাংলার বুকে, পশ্চিম মেদিনীপুর(Paschim Midnapur) জেলায়। পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর(Class 5 Student) সঙ্গে দিনের পর দিন ধরে যৌন সঙ্গম চালিয়ে যাচ্ছিল প্রতিবেশী এক বিবাহিত যুবক। সেই ঘটনা কাকপক্ষীতেও টের পায়নি দীর্ঘদিন। কিন্তু সেই যুবক ধরা পড়ে গেল নিজের বউয়ের কাছেই। আর তাকে ধরিয়ে দিল ঘরের কোনে পড়ে থাকা ব্যবহৃত বীর্যপূর্ণ কন্ডোম(Condom)। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে জেলার দাসপুর(Daspur) থানা এলাকায়। ঘটনার পরেই ওই ছাত্রীর পরিবার যুবকের নামে দাসপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পসকো ধারায় মামলা দায়ের করে গ্রেফতার(Arrest) করেছে। ঘাটাল মহকুমা আদালতে ওই যুবককে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, দাসপুরের ওই যুবক নানা অছিলায় দিনের পর দিন সবার নজর এড়িয়ে পাশের বাড়ির পঞ্চম শ্রেনীর ওই ছাত্রীকে নিজের বাড়িতে ডাকত। তারপর তার সঙ্গে সে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হত। প্রতিবারই সে কণ্ডোম ব্যবহৃত করত যাতে ওই ছাত্রী গর্ভবতী হয়ে না পড়ে। ওই ছাত্রীও বাড়িতে এই বিষয়ে ভয়ে কিছু জানায়নি। এভাবেই চলছিল। কিন্তু শনিবার ওই যুবকের স্ত্রী ঘরের কোনে ব্যবহৃত বীর্যপূর্ণ কন্ডোম পড়ে থাকতে দেখে চমকে ওঠেন। কেননা তাঁর সঙ্গে সহবাসের ক্ষেত্রে ওই যুবক কন্ডোম ব্যবহার করত না। তার জেরেই দুইজনের বিবাদ বাঁধে, আর তখনই সামনে আসে ওই পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রীর সঙ্গে ওই যুবকের সহবাসের বিষয়টি। তা নিয়ে দুইজনের ঝগড়া বাঁধলে বিষয়টি পাড়াপ্রতিবেশীরাও জানতে পারেন। তখনই সব ঘটনা শুনে চমকে যায় ওই ছাত্রীর পরিবার। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে দাসপুর থানায় যুবকের নামে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ওই ছাত্রীকে ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য পাঠায়। সেখানেই নিয়মিত সহবাসের প্রমাণ মেলে। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে।