নিজস্ব প্রতিনিধি: একেই পরের বউ, তারওপর গাদাগুচ্ছের প্রেমিক। সব জেনেশুনেও তাই প্রেমের রেসে নিজের জীবন বাজি রেখেই লড়াইয়ের মাঠে নেমে পড়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ মহকুমার গাইঘাটার বাসিন্দা বছর ২৬’র সুজয় মজুমদার। অনেকের সঙ্গে সুজয়ও হয়ে উঠেছিলেন সেই গৃহবধূর প্রেমিক। কিন্তু শেষপর্যন্ত মক্ষীরানীর হৃদয় জিততে না পেরে নিজের জীবনটাকেই শেষ করে দিলেন তিনি। চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে শেষ করে দিলেন নিজেকে। আর তাঁর সেই আত্মহত্যার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার লোকেরা তীব্র ক্ষোভে ঝাঁপিয়ে পড়লো সেই মক্ষীরানীর ওপরে। ঘর থেকে ওই গৃহবধূকে টেনে বার করে গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে চললো তাঁকে বেধড়ক মারধর। জুতোর মালা পরিয়ে বিবস্ত্র করে তোলা হয় একের পর এক ভিডিও ও ছবি। তারপর কেটে দেওয়া হয় তার চুলও।
জানা গিয়েছে, সুজয় প্রায় ৭ বছর ধরে ওই গৃহবধূর প্রেমে মজে ছিল। শুধু যে সুজয় তাই নয়, আরও অনেক যুবকই ওই মক্ষীরানীর পাল্লায় পড়েছে। সেই প্রেমের চোটে এখন কেউ বিফল মনে মদের নেশায় ডুব দিয়েছেন তো কেউ সর্বস্ব খুইয়ে রাস্তার ভিখারী হয়েছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই গৃহবধূ এলাকার যুবক থেকে ভিন এলাকার বিবাহিত পুরুষদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাঁদের সর্বনাশ সাধন করে ছাড়েন। বাড়িতে কার্যত নিত্যদিনই সেই সব প্রেমিকদের নিয়ে আসর বসাতেন ওই গৃহবধূ। এলাকার মানুষ বার বার বারণ করেছেন এই ধরনের আচরণ থেকে সরে আসতে। কিন্তু ওই গৃহবধূর কোনও পরিবর্তন ঘটেনি। শেষে এদিন সুজয়ের আত্মহত্যার ঘটনা সামনে আসতেই এলাকাবাসী ক্ষোভের জেরেই ওই গৃহবধূর ওপর চড়াও হন। এদিন সকালে এলাকার রেলগেটের কাছেই সুজ্যের ছিন্নভিন্ন দেহ পড়ে থাকতে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এলাকাবাসী। এরপরই তাঁদের ক্ষোভ গিয়ে পড়ে ওই মক্ষীরানীর ওপরে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করে ওই গৃহবধূকে।