নিজস্ব প্রতিনিধি: দুর্গাপুজোয় ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরবে ছেলে, এমনই কথা হয়েছিল মায়ের সঙ্গে। কিন্তু সেনা বাহিনীতে বিশেষ অস্ত্রের প্রশিক্ষণ চালু হয়ে যাওয়ায় আর বাড়ি ফেরা হয়ে ওঠেনি। এবার অবশ্য ছেলে বাড়ি ফিরবে, কিন্তু কফিনে শুয়ে। উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে বৃহস্পতিবার রাতে সেনাবাহিনীর অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবিরে বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে বাংলার(Bengal) এক যুবকের দেহ। সুকান্ত মণ্ডল(২২) নামের ওই যুবকের বাড়ি বাংলার নদিয়া(Nadia) জেলার পলাশীপাড়া(Palashipara) থানার হাঁসপুকিরিয়ার(Hanspukuria) রিফিউজি পাড়ায়(Refugee Para)। ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজস্থানের বাসিন্দা এক সেনা জওয়ানেরও(Jawan) মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সুকান্তের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে হাঁসপুকিরিয়ার রিফিউজি পাড়ায়। ঘটনাটি একেবারে মেনে নিতে পারছে না সুকান্তের পরিবারও।
শুক্রবার সুকান্তের দাদা জানিয়েছেন, ‘ভাই ২০২২ সালে ভারতীয় সেনা বাহিনীতে যোগ দিয়েছিল। বেসিক ট্রেনিং অনাকে দিন আগেই শেষ হয়। পুজোতে বাড়ি আসবে এমনটাই কথা ছিল।এর পরে ভাইয়ের মৃত্যুর খবর এলো একাদশীতে রাতে। ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে শোকে পাথর হয়ে গিয়েছে মা।’ সুকান্তের মা রিঙ্কু দেবী জানিয়েছেন, ‘রোজই কথা হত ছেলের সঙ্গে। পুজোর ছুটিতে বাড়ি আসবে বলেছিল। তবে একে বারে আমাদের থেকে ছুটি নিয়ে নেবে এমনটা কল্পনাও করতে পারিনি। পুজোর সময় সুকান্ত নেই। প্রথম থেকে তা নিয়ে মনখারাপ ছিলই। তবে ও যে আর পাড়াতেই ফিরবে না, একেবারে ঘুমের দেশে চলে যাবে এটা ভাবিনি।’ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে কলকাতা হয়ে এদিন রাতেই সুকান্তের দেহ পৌঁছে যাবে নদিয়ার পলাশীপাড়া থানার হাঁসপুকিরিয়ার রিফিউজি পাড়ায়।