নিজস্ব প্রতিনিধি : নির্বাচনী প্রচারে এসে ফের বিজেপিকে এক হাত নিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি ছেড়ে বহু নেতাই যে তৃণমূলে আসতে আগ্রহী, সেই কথাই বুধবার বুঝিয়ে দেন অভিষেক। তবে কবে এই দলবদলের অনুমতি দেওয়া হবে সেই বিষয়টি স্পষ্ট করেননি তিনি।
এদিন মুর্শিদাবাদে রোড শো ছিল তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের। রোড শো-এর পর সভা করেন তিনি। এদিনের সভা থেকে অভিষেক জানিয়ে দেন, ‘বিজেপির ১০ জন শীর্ষ নেতা তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রেথে চলেছেন। সঠিক সময়ে দরজা খুলে যাবে। বিজেপি এখান থেকে মুছে যাবে।’ অভিষেকের এই বক্তব্য গেরুয়া শিবিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এর আগেও অভিষেকের মুখে এই একই ধরনের কথা শোনা গিয়েছিল। তখনও অভিষেক জানিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে বিজেপির অনেক নেতারাই যোগাযোগ রাখছেন। তৃণমূল যদি দরজা খুলে দেয়, তাহলে তো গোটা দলটাই উঠে যাবে। এদিন মুর্শিদাবাদে গিয়ে ফের আরও একবার বিজেপিতে ভাঙনের ইঙ্গিত দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে বিধায়ক পদ ছেড়েছেন তাঁরা। সেইসঙ্গে এই দুজনকে এবারে লোকসভা ভোটে প্রার্থীও করা হয়েছে। মুকুটমণিকে প্রার্থী করা হয়েছে রানাঘাট কেন্দ্র থেকে। অন্যদিকে বিশ্বজিৎ দাসকে প্রার্থী করা হয়েছে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র থেকে। অন্যদিকে বিজেপি ছেড়ে আসা কৃষ্ণ কল্য়াণীকেও রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে।
এদিন মুর্শিদাবাদের সভা থেকে কংগ্রেস ও সিপিএমের সঙ্গে বিজেপির সেটিং রয়েছে বলেও অভিযোগ তুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে অভিষেক অভিযোগের সুরে জানান, রাহুল গান্ধিকে ইডির সমন পাঠানো হয়েছে। কিন্তু অধীর চৌধুরী, বিমান বসুদের সমন পাঠানো হয় না। এবারে বুঝে নিন বিজেপির সঙ্গে কার সেটিং রয়েছে।