নিজস্ব প্রতিনিধি, ধূপগুড়ি: দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারের শেষ মুহূর্তে রবিবার দুপুরে এক ঝাক অভিনেতা – অভিনেত্রীদের নিয়ে প্রচারে নামাল তৃণমূল কংগ্রেস। আর শেষ লগ্নের প্রচারে ঝড় তুললেন সোহম চক্রবর্তী-মিমি চক্রবর্তীরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। ধূপগুড়িতে টলিউডের দুই জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীকে দেখতে রাস্তার দু’পাশে ভিড় উপচে পড়েছিল। রূপালী পর্দার নায়ক-নায়িকার সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য কার্যত হামলে পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ। উল্লেখ্য, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ি বিদানসভার উপনির্বাচনের জন্য ভোট নেওয়া হবে। এদিন বিকেল পাঁচটার সময়ে প্রচার শেষ হয়েছে।
এদিকে, ভোটের ৪৮ ঘন্টা আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মিতালী রায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়ের হাত ধরে পদ্ম শিবিরে নাম লেখান তিনি। শনিবারই তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় দেখা গিয়েছিল ধূপগুড়ির প্রাক্তন বিধায়ককে। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তাঁর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তৃণমূলের টিকিট না পাওয়ার জন্যই নাকি অন্য কারণে বিজেপিতে যোগদান করেছেন প্রাক্তন বিধায়ক?
যদিও প্রাক্তন বিধায়কের দলবদল ইভিএমে কোনও প্রবাবই ফেলবে না বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। তাঁদের বক্তব্য, বিধায়ক থাকাকালীন এলাকার উন্নয়নে কোনও ভূমিকা নেননি মিতালী। যে কারণেই ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে হেরে গিয়েছিলেন তিনি।