নিজস্ব প্রতিনিধি: নভেম্বর মাসের পর আর কেন্দ্রের তরফে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে না। দু’দিন আগেই কেন্দ্রের তরফে এই ঘোষণার পর মোদির বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন রাজ্যের নেতারা। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বর্ষীয়াণ সাংসদ সৌগত রায় বিষয়টি নিয়ে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। সোমবার সেই পথে না হেঁটে সরাসরি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। বিনামূল্যের রেশন বন্ধ আসলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ব্যর্থতা বলেই মনে করছেন অধীর।
সাংবাদিক সম্মেলনে লোকসভার বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, ‘কালীপুজো, ছটপুজোর পর রেশন বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। আমার প্রশ্ন, যে অবস্থায় বিনা পয়সায় রেশন দেওয়া চালু হয়েছিল, সেই অবস্থা কি কেন্দ্রীয় সরকার শুধরে দিতে পেরেছে? যদি না পেরে থাকে, তাহলে এই বিনা পয়সায় বা সস্তায় চাল-গম দেওয়া বন্ধ হতে পারে না। যুক্তি দিয়ে ভাবুন। ভারতবর্ষে দারিদ্রতা বাড়ছে, অপুষ্টি বাড়ছে। দারিদ্রতা সীমায় বাংলাদেশ, পাকিস্তানেরও নীচে আমরা। করোনার কারণে গরিব মানুষের রোজগার নেই। এই অবস্থায় কোনও যুক্তিতেই বিনা পয়সায় রেশন দেওয়া বন্ধ হতে পারে না।’
গত রবিবার এই বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় আর্জি জানান, যাতে এই প্রক্রিয়া আরও ছ’মাস চলে। রাজ্যে বিনামূল্যে রেশন যেভাবে চলছে সেটাই বজায় থাকবে বলে ঘোষণা করেছেন খাদ্যমন্ত্রী রথিন চক্রবর্তী। অধীর স্পষ্ট জানিয়েছে গোটা রেশনিং ব্যবস্থাতে ব্যর্থ কেন্দ্র। তিনি জানিয়েছেন, ‘মহামারীর শুরুতেই আমরা লাখ লাখ পরিযায়ী শ্রমিকদের মিছিল দেখেছি। সেই পরিযায়ী শ্রমিকরা কোথায় ফিরে গিয়েছেন, তা আমরা জানিনা। তবে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কমেনি কিন্তু। যদি কমত, তাহলে সরকারকে ১০০ দিনের কাজ দীর্ঘস্থায়ী করার কথা ভাবতে হত না। সেই কাজে আরও মানুষকে যুক্ত করার কথা ভাবতে হত না। দেশে অভাব, অপুষ্টি, দারিদ্যতা বাড়ছে। উপার্জন কমছে। আর্থিক অবস্থা ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। এদিকে লাখ লাখ টন চাল-গম মজুতের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কোনওভাবে নিরন্ন মানুষের কাছে রেশন পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ হওয়া উচিত নয়। এর বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করব। দাবি করব এই রেশন ব্যবস্থা চালু থাকার।’