নিজস্ব প্রতিনিধি: আর কয়েক ঘন্টা মাত্র। তারপরেই উত্তরবঙ্গের(North Bengal) আলিপুরদুয়ার(Alipurduyar) শহরের প্যারেড গ্রাউন্ডে বসতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) প্রশাসনিক বৈঠক। সেই বৈঠকের আগেই আলিপুরদুয়ার জেলার শিক্ষাক্ষেত্রে একটা বড় পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার(West Bengal State Government)। আলিপুরদুয়ার জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে(Primary Schools) প্রধান শিক্ষকের সমস্যা মিটতে চলেছে। আলিপুরদুয়ার জেলা শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, ৬০৬ জন প্রধান শিক্ষক(Head Teacher) নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বের করা হয়েছে। প্রায় ১০ বছর পর জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে। দ্রুততার সঙ্গে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ শুরু হতে চলায় খুশি শিক্ষক সংগঠনগুলি।
আলিপুরদুয়ার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) সুজিত সরকার জানিয়েছেন, ‘জেলার ৮০৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬০৬ জন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। এ জন্য আমরা বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। আগামী দু’মাসের মধ্যে নিয়োগ সম্পন্ন করব। আশা করছি, প্রধান শিক্ষক হওয়ার যেসব যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে তা দেখে যোগ্য শিক্ষকরা আবেদন করবেন।’ আলিপুরদুয়ার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় রয়েছে ৮৪০টি প্রাথমিক স্কুল। পড়ুয়ার সংখ্যা ৬৭ হাজার। জেলার দুর্গম বক্সা পাহাড়ে যেমন প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে, তেমনই প্রত্যন্ত টোটোপাড়াতেও আছে প্রাথমিক বিদ্যালয়। জেলায় বাংলামাধ্যমের পাশাপাশি প্রতিটি চক্রে একটি করে ইংরেজি মাধ্যম প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। জেলায় পড়ুয়াপিছু শিক্ষককের অনুপাত মোটামুটি ঠিক থাকলেও বেশিরভাগ বিদ্যালয়েই স্থায়ী প্রধান শিক্ষক জেনই। ৮৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬০৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ই প্রধান শিক্ষক নেই। দীর্ঘসময় ধরে বিদ্যালয়গুলি প্রধান শিক্ষককের বদলে টিআইসি দিয়ে চলছে।
শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিজ্ঞতার নিরিখে একজন শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। কিন্তু, ২০১৩ সাল থেকে ওই পদন্নোতি আটকে ছিল। ফলে যেসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকরা অবসর নিচ্ছেন ওসব বিদ্যালয়ের টিআইসিরাই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এই অবস্থায় এবার এতদিন পর ফের আলিপুরদুয়ার জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হতে চলছে। এবিপিটিএ’র জেলা সহ সভাপতি তুষার সার্দার জানিয়েছেন, ‘এই উদ্যোগ অবশ্যই ভালো। প্রধান শিক্ষক হলে দায়িত্ব বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে তাঁদের মাইনে বৃদ্ধি কারার দাবি আমাদের।’ অন্যদিকে, তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের নেতা রাজেশ শুক্লা জানিয়েছেন, অনেকদিন পর প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে। আমরা চাইব, টিআইসিরা যাতে এতে অগ্রাধিকার পান।’