নিজস্ব প্রতিনিধি: রামনবমীর মিছিল ঘিরে হাওড়ার শিবপুর ও রিষড়ায় গোষ্ঠী সংঘর্ষের পিছনে সুপরিকল্পিত চক্রান্ত রয়েছে বলেই মনে করছেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা। রাজ্যে অস্থিরতা তৈরি করে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চাওয়ার পথ প্রশস্ত করতেই এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে মনে করছেন শীর্ষ আমলারা। রিষড়ার ঘটনার পরেই রবিবার রাতে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় বিশেষ নজরদারি চালানোর জন্য জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের নবান্নের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক মিছিলের অনুমতি না দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ আমলা রবিবার রাতে বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। মূলত ধর্মের বিষ ছড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা চালাচ্ছে দুটি শিবির। দুই শিবিরের লক্ষ্য একটাই, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতির দোহাই পেড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে সুযোগ করে দেওয়া।’ সূত্রের খবর, রিষড়ায় নির্ধারিত সময়ের পরে কেন মিছিল শুরু করা হয়েছিল এবং মিছিল শেষের সময়সীমা কেন মেনে চলা হলো না, তা নিয়ে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত জাভালগির কাছে রিপোর্টও তলব করা হয়েছে।
শিবপুর এবং রিষড়ায় যেখানে রামনবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে তা মিশ্র এলাকা হিসেবেই পরিচিত। দুই এলাকাতেই যেভাবে দুই গোষ্ঠী পরস্পরকে লক্ষ্য করে প্রচুর পরিমাণ ইটবৃষ্টি করেছে এবং সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগ করেছে তাতে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা নিশ্চিত, পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়া এই ঘটনা সম্ভব নয়। জেলার গোয়েন্দারা কেন অশান্তির খবর আগাম পেলেন না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।