নিজস্ব প্রতিনিধি: ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাবে চিড়িয়াখানা-সহ কলকাতার সমস্ত বিনোদন পার্ক। রবিবার শীতের রোদ গায়ে মেখে যারা চিড়িয়াখানা বা অন্যান্য বিনোদন পার্কে এসেছিলেন তাঁদের মধ্যেও দেখা গেল মাস্ক পড়ায় অনীহা। অপরদিকে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে রাজ্যে। এই পরিস্থিতিতে কড়া সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। সোমবার থেকেই রাজ্যের সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিল নবান্ন। অর্থাৎ আগামীকাল থেকেই দিঘা, মন্দারমনি, বকখালি-সহ পুরুলিয়া, দার্জিলিংয়ে পর্যটকদের থাকা হবে না। রবিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়ে দিলেন, পর্যটকদের দ্রুত বাড়ি ফিরে আসতে হবে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ল পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের।
শীতের মরশুমে রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র গমগম করছে পর্যটকদের ভিড়ে। দীর্ঘ লকডাউনে মুখ থুবড়ে পড়া পর্যটন শিল্প নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল। কিন্তু এরমধ্যেই আশঙ্কার কালো মেঘ ঘনিয়ে এল। ইতিমধ্যেই পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে হোটেল-হোম স্টেগুলি পরিপূর্ণ। এছাড়াও সোমবার থেকে আগামী কয়েকদিনের জন্য বেশিরভাগ হোটেল, রিসর্ট ও হোম-স্টে বুক হয়ে রয়েছে। কিন্তু রাজ্যের নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ্যে আসতেই হোটেলের বুকিং বাতিল হতে শুরু করেছে। ফলে মাথায় হাত পড়েছে হোটেল মালিকদের। আবার পর্যটন কেন্দ্রগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই আগামীকালের মধ্যে বাড়ি ফেরার তোড়জোড় শুরু করেছেন। ফলে ট্রেন ও বাসের টিকিটেও কাড়াকাড়ি শুরু হয়েছে। যদিও রাজ্য সরকার জানিয়েছে এই বিধিনিষেধ আপাতত আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এই বিধিনিষেধ আরও বাড়ানো হবে। ফলে নতুন করে সিঁদূরে মেঘ দেখছে রাজ্যের পর্যটন শিল্প।