নিজস্ব প্রতিনিধি: দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শিলিগুড়িতে বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার। মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক আনন্দময় বর্মনের বিরুদ্ধে শনিবার সকালে দেখা গেল পোস্টার। পোস্টারে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
শনিবার সকালে শিলিগুড়ির সফদর হাসমি চকে আনন্দময় বর্মণের বিরুদ্ধে পোস্টার দেখা যায়। বিজেপি বিধায়ক তথা শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি আনন্দময় বর্মনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তোলা হয়েছে। যদিও দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি বিধায়কের দাবি, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোটের আগে তৃণমূলের অপপ্রচার করছে। শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি আনন্দময় বর্মন বলেন, ‘কে কোথায় কী দিয়েছে আমি জানি না। খোঁজখবর নিয়ে দেখতে হবে। তবে আমি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত কি না তা আমার পার্টির লোক ও সাধারণ মানুষ জানে।’ অন্যদিকে এই বিষয়ে দার্জিলিং এর তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, ‘আনন্দময়বাবুর সর্বপ্রথম উচিত নিজের দলের ভেতরে ভালো করে খোঁজখবর করে দেখা। তাদের কোনও বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী বা দলত্যাগে উদ্যত কোন কোন দলীয় পদাধিকারী বা কর্মীদের কাজ। কারণ তিনি যে দলে রয়েছেন, সেই দলটি স্বৈরতান্ত্রিক এবং সম্পূর্ণ গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বে দীর্ণ-বিদীর্ণ হয়ে যাওয়া একটি রাজনৈতিক দল। বাংলায় এই মুহূর্তে তাদের পায়ের তলায় কোনও মাটি নেই।’
উল্লেখ্য এর আগে ময়নাগুড়িতে বিজেপি কর্মীদের উপেক্ষা করার অভিযোগ তুলে গণইস্তফার পদে হেঁটেছেন জেলা সম্পাদক সহ একাধিক মণ্ডল কমিটির পদাধিকারী। গত রবিবার বিজেপির ময়নাগুড়ি মণ্ডল কমিটি(Maynaguri BJP) ঘোষণা করা পর কার্যত আগুনে ঘৃতাহুতি পড়ে। নতুন কমিটিতে দীর্ঘদিনের ত্যাগী, জেল খাটা ও ঘরছাড়া কর্মীদের উপেক্ষা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন দলের জেলা সম্পাদক অমল রায় সহ একাংশ নেতা। তাঁদের আরও অভিযোগ, ‘কাজের লোকের পরিবর্তে স্বজনপোষন করে কাছের লোকদের ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে পদ।’ সেই রেশ কাটতে না কাটতে এবার শিলিগুড়িতে বিজেপির বিধায়কের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগে পড়ল পোস্টার।